আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনের সাথে সৌদি যুবরাজের সম্পর্কের বিষয়টি তদন্তের আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা আরেকটি রহস্যের কিনারা করতে ব্যস্ত ছিল। সৌদি যুবরাজ কি পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন? যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন যুবরাজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার নকশা কিনতে চাইছিলেন।
এ চুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। বিষয়টির সাথে যুক্ত সৌদি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, সৌদি যেখানে কম খরচে বাইরে থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কিনতে পারে, সেখানে নিজস্ব জ্বালানি উৎপাদনে যাওয়ার রহস্য কী? ওয়াশিংটন উদ্বেগে পড়ে ভাবতে থাকে, যুবরাজের অন্য কোনো মতলব আছে কি না। নিজস্ব পারমাণবিক স্থাপনায় অস্ত্র তৈরি করতে পারে সৌদি আরব এ সংশয়ে পড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে পারমাণবিক চুক্তিতে সই করার আগে ইরান এটাই করেছিল।
চুক্তির বিষয়ে কথাবার্তা এগোনোর মধ্যেই যুবরাজ মোহাম্মদ ঘোষণা দেন, ‘ইরান যদি পারমাণবিক বোমা তৈরি করে, আমরাও তাদের পথেই হাঁটব।’ ইরানকে চরম শত্রু হিসেবেই দেখে সৌদি আরব। ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝানো হয়, পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করা হলে জাতিসঙ্ঘের কোনো পর্যবেক্ষককে তা দেখাতে সম্মত হবে না সৌদি। এ থেকে সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। সৌদির সাথে গোপন চুক্তি নিয়ে গত মার্চ মাসে কংগ্রেসে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরি তা কৌশলে এড়িয়ে যান। সৌদির সঙ্গে ওই চুক্তির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও পরিষ্কারভাবে কিছু বলছে না ট্রাম্প প্রশাসন।