ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

যশোরের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার : সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করছে

জেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তাদের সময় অপচয় বা টাকা খরচ করে আর শহরে যেতে হয় না। ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা নিতে পারছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
জেলার আট উপজেলার ৯৩ টি ইউনিয়নের মাধ্যমে বর্তমানে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে সাধারণ লোকদের। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধন, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, ছবি তোলা, ছবি, সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন লেমিনেটিং করা, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ফরম পূরণ করা, ইমেইল, ইন্টারনেট, ভিডিও কলিং, চাকরির তথ্য প্রাপ্তি ও আবেদন করা, ভর্তি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি।
সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটি জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উল্লিখিত সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের টাকা এবং সময় অপচয় করে জেলা শহরে আসতে হতো। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কারণে ঘরে বসেই সেই সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব সেবা প্রাপ্তিতে খুশি বলে জানান, মেয়ের জন্য জন্ম সনদ নিতে আসা ইউনিয়নের ভেকুটিয়া গুয়াবাড়ীঘাট গ্রামের লিপি বেগম, ঋণের জন্য আবেদন করতে আসা হিন্দুপাড়ার বিপ্লব দেবনাথ, ফটোকপি করতে আসা পতেঙ্গালী গ্রামের জামান হোসেন, জন্ম সনদ নিতে আসা দেবাষীশ দাস ও শিক্ষার্থী মাবুদুল ইসলাম।
গত এক বছরে আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আরিফুজ্জামান। স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্বামীর সকল কাজে সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান তিনি। তারা মোট তিনটি সেন্টার পরিচালনা করেন। এর মধ্যে আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইউনিয়ন পরিষদেও সামনে একটি এবং যশোর এমএম কলেজের সামনে একটি ডিজিটাল সেন্টার। আরিফুজ্জামান ইউনিয়ন উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেনার হিসাবেও দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন বলেও জানান আরিফুজ্জামান।
আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাবে বর্তমানে ১২ শিক্ষার্থী সহ এ পর্যন্ত ৯৫ জন কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকার যুব সমাজ দক্ষতা অর্জন করছে এবং বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন।
আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন, দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এই ইউনিয়নের লোকজন সেবা নিতে পারেন। জেলার বাইরে অবস্থান করা বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীদের সুবিধা হয়েছে বেশি। কোন কাজে বাড়তি টাকা খরচ করে আসার দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন পাঠালেই সেবা পৌঁছে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান সরকারের স্বপ্নকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। জেলার ৯৩ টি ইউনিয়নে ৯৬ টি এবং ৮ পৌরসভায় ৮ টি ডিজিটাল এর মধ্যে বড় ৩ টি ইউনয়নে ২টি করে রয়েছে। সেন্টারের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত নেতৃত্বে পরিচালিত আইসিটি বিভাগ।

SHARE

Facebook
Twitter

 

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

যশোরের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার : সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করছে

আপডেট টাইম ১০:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮

জেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তাদের সময় অপচয় বা টাকা খরচ করে আর শহরে যেতে হয় না। ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা নিতে পারছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
জেলার আট উপজেলার ৯৩ টি ইউনিয়নের মাধ্যমে বর্তমানে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে সাধারণ লোকদের। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধন, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, ছবি তোলা, ছবি, সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন লেমিনেটিং করা, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ফরম পূরণ করা, ইমেইল, ইন্টারনেট, ভিডিও কলিং, চাকরির তথ্য প্রাপ্তি ও আবেদন করা, ভর্তি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি।
সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটি জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উল্লিখিত সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের টাকা এবং সময় অপচয় করে জেলা শহরে আসতে হতো। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কারণে ঘরে বসেই সেই সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব সেবা প্রাপ্তিতে খুশি বলে জানান, মেয়ের জন্য জন্ম সনদ নিতে আসা ইউনিয়নের ভেকুটিয়া গুয়াবাড়ীঘাট গ্রামের লিপি বেগম, ঋণের জন্য আবেদন করতে আসা হিন্দুপাড়ার বিপ্লব দেবনাথ, ফটোকপি করতে আসা পতেঙ্গালী গ্রামের জামান হোসেন, জন্ম সনদ নিতে আসা দেবাষীশ দাস ও শিক্ষার্থী মাবুদুল ইসলাম।
গত এক বছরে আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আরিফুজ্জামান। স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্বামীর সকল কাজে সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান তিনি। তারা মোট তিনটি সেন্টার পরিচালনা করেন। এর মধ্যে আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইউনিয়ন পরিষদেও সামনে একটি এবং যশোর এমএম কলেজের সামনে একটি ডিজিটাল সেন্টার। আরিফুজ্জামান ইউনিয়ন উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেনার হিসাবেও দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন বলেও জানান আরিফুজ্জামান।
আরবপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাবে বর্তমানে ১২ শিক্ষার্থী সহ এ পর্যন্ত ৯৫ জন কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকার যুব সমাজ দক্ষতা অর্জন করছে এবং বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন।
আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম বলেন, দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এই ইউনিয়নের লোকজন সেবা নিতে পারেন। জেলার বাইরে অবস্থান করা বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীদের সুবিধা হয়েছে বেশি। কোন কাজে বাড়তি টাকা খরচ করে আসার দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন পাঠালেই সেবা পৌঁছে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান সরকারের স্বপ্নকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। জেলার ৯৩ টি ইউনিয়নে ৯৬ টি এবং ৮ পৌরসভায় ৮ টি ডিজিটাল এর মধ্যে বড় ৩ টি ইউনয়নে ২টি করে রয়েছে। সেন্টারের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত নেতৃত্বে পরিচালিত আইসিটি বিভাগ।

SHARE

Facebook
Twitter