ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।।

মৎস্যজীবীরা জাল হাতে কাঁদে, জলের আধিপত্য শিক্ষকবৃন্দের

Exif_JPEG_420

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

জাল যার, জলা তার’- এমন নীতির ভিত্তিতে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য দেখা দিয়েছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বড় রুহিয়া বিলের ইজারায়। এমন অভিযোগ তুলেছেন ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবীর পক্ষে নওশাদ আলী। তারা প্রত্যেকেই সরকারি আইডি প্রাপ্ত মৎস্যজীবী।

প্রকৃত ভূমিহীন অসহায় গরীব জেলেরা ইজারা নিতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলেও তাদের কোন দুঃখ ছিলো না,যদি তারা বদ্ধখালের পাশ্ববর্তী জলাশয়ে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন সহ বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারতো। এর আগে অন্য পেশায় নামতে হয় নাই কখনো তাদের কেননা তাদের মনোযোগ কলা-কৌশল ছিল একমাত্র মাছ ধরে অতি কষ্টে জীবন যাপন করা। এর থেকে বেশি কিছু চায়ওনা তারা, বিল পাড়ের আশেপাশের অন্তত ১৬ জনের জমিতে মাছ ধরার আশ্বাস তারা অর্জন করে নিয়েছে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তখনি যখন জামাল নামের জনৈক ব্যাক্তি হামলার স্বীকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন ইজারাকৃত বিলের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাক্তি হুমায়ুন মাস্টার, হিরু মাস্টার,রতন মিয়া র দিকে। বিলের বাইরের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাছ স্বীকারের স্বীকৃতি স্বরুপ মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমানের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৎসজীবীরা দাবী করেন নির্ধারিত বিলের ভূমি মালিকগণ ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে মাছ চাষ করছে না।এ ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে তারা নিজেদের পক্ষে মালিকানাধীন জলাশয়ের অধিকাংশ ব্যাক্তির উৎসাহ পান। ক্ষুধার জালা সয়ে নিয়ে ২ মাস যাবৎ প্রতিকারের আশায় ছুটে চলছেন প্রশাসনের সর্ব স্তরে।

প্রকৃত মৎস্য চাষীদের কাছে জল মহল ইজারা ও জল মহল ইজারা নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’—স্লোগানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি অমৎস্যজীবীর হাতে নেতৃত্ব চলে যায় এমনটা মনে করেন সচেতন মহল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেরা বলেন, যাদের কেউ মৎস্যজীবী ছিল না,জাল হাত দিয়ে নেড়ে দেখেনি। জাল কিভাবে ফেলতে হয় তাও জানে না। এখন তারা বড় মৎস্যজীবী বনেগেছেন।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি কর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর নীতি বাস্তবায়নে চাই ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির নেপথ্যে মধ্যস্বত্বভোগী প্রভাবশালী চক্রকে চিহ্নিত করা। নয়তো প্রকৃত জেলেরা নিজ পেশা হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে, এ ব্যাপারেও সরকারের সমূচিত ভাবনা থাকতে হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

মৎস্যজীবীরা জাল হাতে কাঁদে, জলের আধিপত্য শিক্ষকবৃন্দের

আপডেট টাইম ০২:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি

জাল যার, জলা তার’- এমন নীতির ভিত্তিতে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য দেখা দিয়েছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বড় রুহিয়া বিলের ইজারায়। এমন অভিযোগ তুলেছেন ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবীর পক্ষে নওশাদ আলী। তারা প্রত্যেকেই সরকারি আইডি প্রাপ্ত মৎস্যজীবী।

প্রকৃত ভূমিহীন অসহায় গরীব জেলেরা ইজারা নিতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলেও তাদের কোন দুঃখ ছিলো না,যদি তারা বদ্ধখালের পাশ্ববর্তী জলাশয়ে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন সহ বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারতো। এর আগে অন্য পেশায় নামতে হয় নাই কখনো তাদের কেননা তাদের মনোযোগ কলা-কৌশল ছিল একমাত্র মাছ ধরে অতি কষ্টে জীবন যাপন করা। এর থেকে বেশি কিছু চায়ওনা তারা, বিল পাড়ের আশেপাশের অন্তত ১৬ জনের জমিতে মাছ ধরার আশ্বাস তারা অর্জন করে নিয়েছে। আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তখনি যখন জামাল নামের জনৈক ব্যাক্তি হামলার স্বীকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন ইজারাকৃত বিলের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাক্তি হুমায়ুন মাস্টার, হিরু মাস্টার,রতন মিয়া র দিকে। বিলের বাইরের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাছ স্বীকারের স্বীকৃতি স্বরুপ মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমানের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৎসজীবীরা দাবী করেন নির্ধারিত বিলের ভূমি মালিকগণ ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে মাছ চাষ করছে না।এ ব্যাপারে অগ্রসর হয়ে তারা নিজেদের পক্ষে মালিকানাধীন জলাশয়ের অধিকাংশ ব্যাক্তির উৎসাহ পান। ক্ষুধার জালা সয়ে নিয়ে ২ মাস যাবৎ প্রতিকারের আশায় ছুটে চলছেন প্রশাসনের সর্ব স্তরে।

প্রকৃত মৎস্য চাষীদের কাছে জল মহল ইজারা ও জল মহল ইজারা নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’—স্লোগানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি অমৎস্যজীবীর হাতে নেতৃত্ব চলে যায় এমনটা মনে করেন সচেতন মহল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেরা বলেন, যাদের কেউ মৎস্যজীবী ছিল না,জাল হাত দিয়ে নেড়ে দেখেনি। জাল কিভাবে ফেলতে হয় তাও জানে না। এখন তারা বড় মৎস্যজীবী বনেগেছেন।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি কর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর নীতি বাস্তবায়নে চাই ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির নেপথ্যে মধ্যস্বত্বভোগী প্রভাবশালী চক্রকে চিহ্নিত করা। নয়তো প্রকৃত জেলেরা নিজ পেশা হারিয়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে, এ ব্যাপারেও সরকারের সমূচিত ভাবনা থাকতে হবে।