ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

মোহনপুর ইউনিয়ন আ‘লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হারানোর দিন: শোক হোক আজ স্বপ্ন পূরণের শক্তি —–কাজী মিজান

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন ঃ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোব্বার ১৫ আগষ্ট বিকেলে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রচারলীগের সহ-সভাপতি ও মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান,

তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

যার ডাকে প্রশিক্ষিত হানাদারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার মানুষ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সেই বাঙালিকে হারানোর দিনটি ফিরে এলো শোকের আবহ নিয়ে। আজ থেকে ৪৬ বছর আগের এই রাতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী, উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করেনি, তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।

“বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ অগাস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল।

“ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।”

তিনি বলেন, “আসুন, জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করি।”

তিনি আরোও বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। মুজিববর্ষে জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও আদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।”

বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি৷ সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধানের সভাপতিত্বে ও ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়ের সঞ্চালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা বাবু চান্দু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরিফ,সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপদার,ইউপি মহিলালীগের সভানেত্রী মানছুরা হাওলাদার, প্রমুখ৷

আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মোহনপুর বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম ৷

এসময় মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

মোহনপুর ইউনিয়ন আ‘লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হারানোর দিন: শোক হোক আজ স্বপ্ন পূরণের শক্তি —–কাজী মিজান

আপডেট টাইম ০২:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন ঃ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোব্বার ১৫ আগষ্ট বিকেলে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রচারলীগের সহ-সভাপতি ও মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান,

তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

যার ডাকে প্রশিক্ষিত হানাদারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার মানুষ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সেই বাঙালিকে হারানোর দিনটি ফিরে এলো শোকের আবহ নিয়ে। আজ থেকে ৪৬ বছর আগের এই রাতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী, উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করেনি, তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।

“বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ অগাস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল।

“ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।”

তিনি বলেন, “আসুন, জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করি।”

তিনি আরোও বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। মুজিববর্ষে জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও আদর্শ আমাদের কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।”

বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি৷ সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধানের সভাপতিত্বে ও ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়ের সঞ্চালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা বাবু চান্দু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরিফ,সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপদার,ইউপি মহিলালীগের সভানেত্রী মানছুরা হাওলাদার, প্রমুখ৷

আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মোহনপুর বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম ৷

এসময় মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।