ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা গত মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার। ফলে অর্থবছরের এই ১১ মাসেই গত অর্থবছরের ১২ মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।

গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত অর্থাৎ চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ।

ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা এখন আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রবাসীরা ১ ডলার পাঠালে দেশে তাঁদের স্বজনেরা পেতেন ৭৮ টাকা। এখন প্রতি ডলারের জন্য পান প্রায় ৮৪ টাকা। এ ছাড়া দেশে ডলারের সংকট থাকায় ব্যাংকগুলো ডলার সংগ্রহে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে। এ কারণেই বাড়ছে প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ১৫৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের হিসাবে আয় বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে এসেছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ডলার।
মূলত ২০১০ সালের পর বৈধ পথে প্রবাসী আয় সংগ্রহে তৎপরতা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা, প্রবাসীদের পুরস্কার প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার প্রভাব পড়ে আয়ে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশসহ অন্য কয়েকটি সেবার মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণ শুরু হওয়ায় বৈধ পথে আয় আসা কমে যায়। এর ফলে ২০১৬ সালে প্রবাসী আয়ে মন্দাভাব দেখা দেয়।
ডলারের দাম বাড়ার মূল কারণ রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেড়ে যাওয়া। দেশে চাল, গম ও অন্যান্য পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। সব মিলিয়ে বর্তমান ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মার্চ মাস শেষে চলতি হিসাবে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭০৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

আপডেট টাইম ০৫:২১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৮

দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা গত মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার। ফলে অর্থবছরের এই ১১ মাসেই গত অর্থবছরের ১২ মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।

গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত অর্থাৎ চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ।

ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা এখন আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রবাসীরা ১ ডলার পাঠালে দেশে তাঁদের স্বজনেরা পেতেন ৭৮ টাকা। এখন প্রতি ডলারের জন্য পান প্রায় ৮৪ টাকা। এ ছাড়া দেশে ডলারের সংকট থাকায় ব্যাংকগুলো ডলার সংগ্রহে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে। এ কারণেই বাড়ছে প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ১৫৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের হিসাবে আয় বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে এসেছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ডলার।
মূলত ২০১০ সালের পর বৈধ পথে প্রবাসী আয় সংগ্রহে তৎপরতা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা, প্রবাসীদের পুরস্কার প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার প্রভাব পড়ে আয়ে। তবে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশসহ অন্য কয়েকটি সেবার মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণ শুরু হওয়ায় বৈধ পথে আয় আসা কমে যায়। এর ফলে ২০১৬ সালে প্রবাসী আয়ে মন্দাভাব দেখা দেয়।
ডলারের দাম বাড়ার মূল কারণ রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেড়ে যাওয়া। দেশে চাল, গম ও অন্যান্য পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। সব মিলিয়ে বর্তমান ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মার্চ মাস শেষে চলতি হিসাবে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭০৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।