বিশ্বকাপের আগের কথা। সব দলের মতো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনা দলের যাওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলে। ইসরায়েল জাতীয় দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেসিদের। কিন্তু ম্যাচের কিছুদিন আগে ভেন্যু বদলে জেরুজালেম করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সিদ্ধান্তটি ভালো চোখে দেখেনি ফিলিস্তিন। তখন ফিলিস্তিন ফুটবল সংস্থার সভাপতি জিব্রিল রাজোব দেশের মানুষকে আহ্বান জানান মেসির জার্সি ও ছবি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে। ফিফার আচরণবিধি ভাঙার অপরাধে এক বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে তাই নিষিদ্ধ হলেন জিব্রিল রাজোব।
বিশ্বকাপের আগে কথা ছিল ইসরায়েল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রীতি ম্যাচটি হবে হাইফায়। তখন পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু তার পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসও সেখানে সরিয়ে আনা হয়। জেরুজালেম শহরটিতে নিজেদের একচ্ছত্র দাবি প্রতিষ্ঠানের কূটনৈতিক চাল হিসেবেই ইসরায়েল আর্জেন্টিনার সঙ্গে ম্যাচটিও এই শহরে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ ওঠে।
ক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। রীতিমতো প্রতিবাদ-আন্দোলনে নেমে পড়ে তারা। জেরুজালেমে ম্যাচটি হলে তা পণ্ড করার সব রকম চেষ্টা হবে, মেসিদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে—এসব কথাও বলা হয়। আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থা পরে ম্যাচটি স্থগিত করে। রাজোব সে সময় মেসির বিশালকায় ছবি পাশে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ধন্যবাদ দিয়েছিলেন মেসি ও আর্জেন্টিনাকে।
কিন্তু রাজোব তত দিনে ফিফার আচরণবিধি ভেঙেছেন। তাঁর কথার মধ্যে উসকানি ছিল বলে মনে করে ফিফা। ফিফার দেওয়া আনুষ্ঠানিক নোটিশে রাজোবের জার্সি পোড়ানোর ঘোষণাকে বলা হয়েছে ‘ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানোর মতো অপরাধ’। এ কারণে ফিফার আচরণবিধি-সংক্রান্ত কমিটি ৫৩ ধারায় রাজোবকে এক বছরের জন্য ফিফা-সম্পর্কিত সব কাজ থেকে নিষিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় মাঠে গিয়ে অফিশিয়াল কোনো ম্যাচও দেখতে পারবেন না তিনি।
ইসরায়েল-আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচটি পরে যেকোনো সময় হবে বলে সে সময় বলা হয়েছিল। নতুন ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু এখনো ঘোষণা করা হয়নি।