শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোক্তার হাওলাদার (৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ডান পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পা বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। গত শনিবার (১৫ই জানুয়ারি) রাত ১০টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আহত মোক্তার হোসেন হাওলাদার এর বড়ভাই দুলাল হাওলাদার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেনের চর ১নং ওয়ার্ড এর মেম্বার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
আহত মোক্তার হোসেনের মেঝো ভাই আক্তার হাওলাদার জানান, তার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আছেন। বর্তমানে তার ভাই দুলাল হাওলাদার এর নির্বাচনে ভোট চাইতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্য পাশের বাড়ির আবু আলেম, টিটু ও তাদের ভাই সন্ত্রাসী টিপু হাওলাদার কুপিয়ে আহত করে। বর্তমানে তার ভাই মোক্তার হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
পত্যক্ষদর্শী একজন জানান, সন্ধার দিকে মোক্তার গরুর মাংস কিনতে তার চাচাতো ভাইকে নিয়ে আনন্দ বাজারে যান, আসার পথে টিটু হাওলাদার টিপু হাওলাদার ও আবু আলেম হাওলাদার সহ আরও ৭-৮জন মিলে পথরোধ করে দাড়ায়। এসময় তাদের হাতে ধারালো চাপাতি দেখে মোক্তার হোসেন বলে উঠেন, টিটো আমাকে মারিস না ভাই। আমরা নির্বাচন করবো না। কিন্তু টিটো বা সাথে থাকা কেউ মোক্তারের কথায় কর্ণপাত না করে প্রথমে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে দু’জনে আক্তারকে জড়িয়ে ধরে এবং একজনে পা শক্ত করে ধরে ডান পায়ে চাপাতি দিয়ে ২০-২৫টি কোপ দেয়। এতে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মোক্তার মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনা বিষয়ে আহত মোক্তার হোসেন হাওলাদারের ভাই আক্তার হোসেন আরও জানান, তিনি এবং তার ভাই দুলাল মিলে তার ভাই মোক্তারকে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার দ্রুত ঢাকা নিতে বলেন। তাৎক্ষণিক এম্বুলেন্সে উঠিয়ে দিলে মাওয়া ঘাট থেকে খবর আসে তার ভাই মারা গেছেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাঁচার জন্য আবু আলেম টিটু ও টিপুরা তিনভাই মিলে তাদের নিজেদের ঘরে আগুন দেয়। এবং পরবর্তীতে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার কেউ কোনো কথা বলেনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত টিটু টিপু ও আবু আলেমের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি ফাঁকা ও আগুনে পোড়ানো দেখা গেছে।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।