ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির পিটুনিতে আসামি নিহত। কর্ণফুলী নদীকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী: বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান টানা ৬ দিনের ছুটি শেষে চট্টগ্রাম নগরে ফিরছে মানুষ

মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন হাজী আবুল কাশেম

জসীম মিয়া, ফরিদপুর প্রতিনিধি :

সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাজী মো: আবুল কাশেম মোল্যা।

৮০ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়োইল গ্রামে। শনিবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা। দিনব্যাপী ভূরিভোজে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শনিবার ১২টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন মসজিদের ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি। বড় ছেলে মো. মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় ছেলে ওহিদুজ্জামান ফিরোজ, তৃতীয় ছেলে মো. লিটন মিয়া ও চতুর্থ ছেলে কায়ুমুজ্জামান। বৃদ্ধ হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা।

মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন হাজী আবুল কাশেম

আপডেট টাইম ০৭:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

জসীম মিয়া, ফরিদপুর প্রতিনিধি :

সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে মিলাদ বা কুলখানির আয়োজন করেন স্বজনরা। কিন্তু মৃত্যুর আগেই আড়াই হাজার গ্রামবাসীকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাজী মো: আবুল কাশেম মোল্যা।

৮০ বছরের এ বৃদ্ধের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমড়োইল গ্রামে। শনিবার নিজ বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন করেন হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা। দিনব্যাপী ভূরিভোজে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে কামতাল গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় গরু জবাইসহ রান্না-বান্নার কাজ। শনিবার ১২টায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে অংশ নেন মসজিদের ইমাম। মোনাজাতের পর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া, যা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যার চার ছেলে ও তিন মেয়ে। পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
আরো আগেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেন তিনি। বড় ছেলে মো. মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় ছেলে ওহিদুজ্জামান ফিরোজ, তৃতীয় ছেলে মো. লিটন মিয়া ও চতুর্থ ছেলে কায়ুমুজ্জামান। বৃদ্ধ হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন। হাজী মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, মৃত্যুর আগেই প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।