ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

মুশফিকের কাছে হেরে গেল তামিমের কুমিল্লা

স্পোর্টস ডেস্ক :  ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিলো, ঠিক তেমন ঝড়ো ব্যাটিংই করেছিলেন এ আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পরে বাকি ছিলো দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা শেষ করে আসা। ঠিক সেই কাজটা করেছেন দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিচয় দিয়েছেন নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পারদর্শীতার। খেলেছেন ৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস। শেষ ওভারের আগে আউট হয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুশফিকের ইনিংসেই ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে চিটাগং ভাইকিংস।

কুমিল্লার ১৮৫ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে গিয়ে চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক খেলেছেন বীরোচিত ইনিংস। ৪১ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা ছিল। ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চিটাগং। দলের পক্ষে শাহজাদ ৪৬, ডেলপোর্ট ১৩, নাজিবউল্লাহ জাদরান ১৩, মোসাদ্দেক ১২ রান করেন। সাইফউদ্দিন নেন তিন উইকেট।

তবে শেষদিকে দলকে একাই টেনে নেন মুশফিক। তাই বলাই যায়, এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছেই যেন হেরেছে তামিমের কুমিল্লা।

অবশ্য প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল কুমিল্লা। দলের ঝুলিতে কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার তামিম ইকবাল (০) সাজঘরে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হকও (১০)।

এর পর এভিন লুইসকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশ খানিকটা এগিয়ে নেন দলকে। অবশ্য তিনি ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩৮ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান এভিন। পরে দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট হারালে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সাইফউদ্দিন দারুণ দুটি ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে বড় স্কোর গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন। পেরেরা মাত্র ২৬ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে তিনটি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। আর সাইফউদ্দিন ১৯ বলে ২৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সাপোর্ট দেন।

তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আবু জায়েদ রাহি ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক একটি করে উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হতে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

মুশফিকের কাছে হেরে গেল তামিমের কুমিল্লা

আপডেট টাইম ০৩:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
স্পোর্টস ডেস্ক :  ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিলো, ঠিক তেমন ঝড়ো ব্যাটিংই করেছিলেন এ আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পরে বাকি ছিলো দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা শেষ করে আসা। ঠিক সেই কাজটা করেছেন দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিচয় দিয়েছেন নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পারদর্শীতার। খেলেছেন ৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস। শেষ ওভারের আগে আউট হয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুশফিকের ইনিংসেই ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে চিটাগং ভাইকিংস।

কুমিল্লার ১৮৫ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে গিয়ে চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক খেলেছেন বীরোচিত ইনিংস। ৪১ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা ছিল। ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চিটাগং। দলের পক্ষে শাহজাদ ৪৬, ডেলপোর্ট ১৩, নাজিবউল্লাহ জাদরান ১৩, মোসাদ্দেক ১২ রান করেন। সাইফউদ্দিন নেন তিন উইকেট।

তবে শেষদিকে দলকে একাই টেনে নেন মুশফিক। তাই বলাই যায়, এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছেই যেন হেরেছে তামিমের কুমিল্লা।

অবশ্য প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল কুমিল্লা। দলের ঝুলিতে কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার তামিম ইকবাল (০) সাজঘরে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হকও (১০)।

এর পর এভিন লুইসকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশ খানিকটা এগিয়ে নেন দলকে। অবশ্য তিনি ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩৮ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান এভিন। পরে দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট হারালে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।

তবে ষষ্ঠ উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সাইফউদ্দিন দারুণ দুটি ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে বড় স্কোর গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন। পেরেরা মাত্র ২৬ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে তিনটি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। আর সাইফউদ্দিন ১৯ বলে ২৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সাপোর্ট দেন।

তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আবু জায়েদ রাহি ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক একটি করে উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হতে।