কুমিল্লার ১৮৫ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে গিয়ে চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক খেলেছেন বীরোচিত ইনিংস। ৪১ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা ছিল। ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চিটাগং। দলের পক্ষে শাহজাদ ৪৬, ডেলপোর্ট ১৩, নাজিবউল্লাহ জাদরান ১৩, মোসাদ্দেক ১২ রান করেন। সাইফউদ্দিন নেন তিন উইকেট।
তবে শেষদিকে দলকে একাই টেনে নেন মুশফিক। তাই বলাই যায়, এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছেই যেন হেরেছে তামিমের কুমিল্লা।
অবশ্য প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল কুমিল্লা। দলের ঝুলিতে কোনো রান যোগ না হতেই ওপেনার তামিম ইকবাল (০) সাজঘরে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হকও (১০)।
এর পর এভিন লুইসকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশ খানিকটা এগিয়ে নেন দলকে। অবশ্য তিনি ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩৮ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান এভিন। পরে দ্রুত আরো কয়েকটি উইকেট হারালে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে থিসারা পেরেরা ও সাইফউদ্দিন দারুণ দুটি ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে বড় স্কোর গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন। পেরেরা মাত্র ২৬ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে তিনটি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। আর সাইফউদ্দিন ১৯ বলে ২৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সাপোর্ট দেন।
তরুণ পেসার খালেদ আহমেদ চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আবু জায়েদ রাহি ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক একটি করে উইকেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহের পথে বাধা হতে।