ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

ভারতের বিপক্ষে জয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

স্পোর্টস ডেস্ক :  ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দিল্লিতে৭ উইকেটের এই ঐতিহাসিক জয়ে মুশফিকুর রহিমদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে বঙ্গভবন প্রেস উইং এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পৃথকভাবে এ কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুনঃ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়

এর আগে, মুশশিকুর রহিমের অনবদ্য ৬০ রানে ভর করে ভারতের বিপক্ষে ইউকেটে জয় পায় মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। আর এটিই রহিতদের বিপক্ষে প্রথম জয়।

এবারই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ডেকেছে ভারত। এর আগে ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেললেও কখনো টি-২০ খেলেনি। ভারতীয়দের বিপক্ষে সীমিত ফরম্যাটে জিততেও পারেনি টাইগাররা। নবম বারের দেখায় শেষ পর্যন্ত জয় পেল বাংলাদেশ।

ভারতের মাটিতে এটিই দুদলের প্রথম টি-২০ ম্যাচ। ঐতিহাসিক এ ম্যাচটি স্মরণীয় হলো না স্বাগতিকদের জন্য। অপরদিকে সাকিব, তামিম না থাকার শোককে শক্তি বানিয়ে লড়াই করা টাইগাররা তুলে নিল দুর্দান্ত জয়।

দিল্লিতে মাঝারি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সৌম্য সরকার। ২৮ বলে ২৬ রান করে নাইম ফেরার পর সৌম্যকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম।

৩৯ বলে সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর খেল দেখান মুশফিক। মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন বাকি পথ।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য টাইগারদের ২২ রান। সেখানে ১৯তম ওভারে মুশির নায়কোচিত ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৪। যা নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়েনি দুই ভায়রা-ভাইয়ের।

ভারতকে বেশিদূর যেতে দিল না বাংলাদেশ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের প্রথম টি-২০তে ১৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে স্বাগতিকরা।

রাতে শিশির পড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার সিদ্ধান্তকে প্রথম ওভারেই সঠিক প্রমাণ করেন পেসার শফিউল ইসলাম। প্রথম ওভারেই ৯ রানে তিনি ফেরান ভারতীয় অধিনায়ক রহিত শর্মাকে।

লোকেশ রাহুলকেও বেশিদূর যেতে দেননি লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি তুলে নেন ১৭ বলে ১৫ রান করা রাহুলকে। শ্রেয়াশ আয়ার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। তাকেও অল্পতেই আটকে দেন বিপ্লব। সাজ ঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে ২২ রান করে আয়ার।

শিখর ধাওয়ান উইকেট ধরে রাখলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারেননি। রান আউট হয়ে ফেরার আগে তিনি ৪২ বলে করেন ৪১ রান। শিভম দুবেকে ১ রানে ফেরান আফিফ হোসেন।

এরপর রিশভ পান্থ হাল ধরেন। ২৭ রানে তাকে ফেরান শফিউল। শেষ দিকে ক্রনাল পাণ্ডের ৮ বলে ১৫ রানের সুবাদে লড়াইয়ের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।

বল হাতে দারুণ ছিলেন লেগস্পিনা বিপ্লব। ৩ ওভার বল করে ২২ রান খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে এসে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও ২ উইকেট তুলে নেন শফিউল। এছাড়া ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ভারতের বিপক্ষে জয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

আপডেট টাইম ১২:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক :  ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দিল্লিতে৭ উইকেটের এই ঐতিহাসিক জয়ে মুশফিকুর রহিমদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে বঙ্গভবন প্রেস উইং এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পৃথকভাবে এ কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুনঃ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়

এর আগে, মুশশিকুর রহিমের অনবদ্য ৬০ রানে ভর করে ভারতের বিপক্ষে ইউকেটে জয় পায় মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। আর এটিই রহিতদের বিপক্ষে প্রথম জয়।

এবারই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ডেকেছে ভারত। এর আগে ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেললেও কখনো টি-২০ খেলেনি। ভারতীয়দের বিপক্ষে সীমিত ফরম্যাটে জিততেও পারেনি টাইগাররা। নবম বারের দেখায় শেষ পর্যন্ত জয় পেল বাংলাদেশ।

ভারতের মাটিতে এটিই দুদলের প্রথম টি-২০ ম্যাচ। ঐতিহাসিক এ ম্যাচটি স্মরণীয় হলো না স্বাগতিকদের জন্য। অপরদিকে সাকিব, তামিম না থাকার শোককে শক্তি বানিয়ে লড়াই করা টাইগাররা তুলে নিল দুর্দান্ত জয়।

দিল্লিতে মাঝারি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সৌম্য সরকার। ২৮ বলে ২৬ রান করে নাইম ফেরার পর সৌম্যকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম।

৩৯ বলে সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর খেল দেখান মুশফিক। মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেন বাকি পথ।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য টাইগারদের ২২ রান। সেখানে ১৯তম ওভারে মুশির নায়কোচিত ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৪। যা নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়েনি দুই ভায়রা-ভাইয়ের।

ভারতকে বেশিদূর যেতে দিল না বাংলাদেশ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের প্রথম টি-২০তে ১৪৮ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে স্বাগতিকরা।

রাতে শিশির পড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার সিদ্ধান্তকে প্রথম ওভারেই সঠিক প্রমাণ করেন পেসার শফিউল ইসলাম। প্রথম ওভারেই ৯ রানে তিনি ফেরান ভারতীয় অধিনায়ক রহিত শর্মাকে।

লোকেশ রাহুলকেও বেশিদূর যেতে দেননি লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি তুলে নেন ১৭ বলে ১৫ রান করা রাহুলকে। শ্রেয়াশ আয়ার ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। তাকেও অল্পতেই আটকে দেন বিপ্লব। সাজ ঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে ২২ রান করে আয়ার।

শিখর ধাওয়ান উইকেট ধরে রাখলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারেননি। রান আউট হয়ে ফেরার আগে তিনি ৪২ বলে করেন ৪১ রান। শিভম দুবেকে ১ রানে ফেরান আফিফ হোসেন।

এরপর রিশভ পান্থ হাল ধরেন। ২৭ রানে তাকে ফেরান শফিউল। শেষ দিকে ক্রনাল পাণ্ডের ৮ বলে ১৫ রানের সুবাদে লড়াইয়ের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।

বল হাতে দারুণ ছিলেন লেগস্পিনা বিপ্লব। ৩ ওভার বল করে ২২ রান খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে এসে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও ২ উইকেট তুলে নেন শফিউল। এছাড়া ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন।