মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি:
মুরাদনগর উপজেলা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে উপজেলার কৃষক ভাইদের কষ্ট লাঘবের জন্য এবং কৃষি আধুনিকয়নের কথা চিন্তা করে, বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মুরাদনগরের গণ-মানুষের নেতা জনগণের আস্থার ঠিকানা, কৃষক শ্রমিক বান্ধব নেতা মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ এর নিজস্ব অর্থায়নে, এ উপজেলার সর্বস্তরের কৃষক ভাইদের জন্য “কম্বাইন্ড হারভেস্টার”ও দুইটি জাপানি প্রযুক্তির ছোট বড় ধানকাটার মেশিন প্রদান করেন, এই মেশিন গ্রহণ করেছেন মুরাদনগরের সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব অভিষেক দাস ও উপজেলা কৃষি অফিসার মাইন উদ্দিন আহমেদ,
মাননীয় এমপি মহোদয় বলেন এই দুর্যোগ মুহূর্তে পবিত্র মাহে রমজানের কথা চিন্তা করে কৃষক ভাইদের শ্রমিক সংকট, সময় বাঁচানোর জন্য এবং শ্রমিকের অতিরিক্ত খরচ যাতে না হয়, এই পরিকল্পনা কৃষক ভাইদের জন্য ২ টি ইয়ানমার হারভেস্টার ধান কাটার মেশিন প্রদান করি।
এমপি মহোদয় আরো বলেন এই মেশিনে শোয়ানো অবস্থায় ধান কাটা যায়, খর কে ছোট-বড় যেকোনো সাইজ করা যায়, এই মেশিনে একইসাথে ধান কেটে মাড়াই করে এবং ঝাড়াই করে মেশিনের ভিতর জমা রাখা যায়, ধান ঝাড়াই করার পর ধান হয় পরিষ্কার ও উজ্জল, এই মিশিনে কৃষকের খরচ একবারে কমিয়ে এনেছে এই মেশিনে প্রতি একর জমির ধান কাটতে ডিজেল বাবদ খরচ হয় ৬৫০ টাকা, প্রতি মৌসুমে ৩৫০ একর জমির ধান কাটা সম্ভব,
এক কৃষক ভাইয়ের বক্তব্য বলেন ০১ একর জমির পাকা ধান শ্রমিক দিয়ে ঘরে তুলতে খরচ হয় ( ১০) দশহাজার টাকা, আর এই মেশিনে ধান কাটা মাড়াই,ঝাড়াই,বস্তাবন্দি বাড়ি পৌঁছানো খরচ হয় (০৫) পাঁচ হাজার টাকা,আমাদের কৃষকের পাঁচ হাজার টাকা বেঁচে যায়, কৃষক আরো বলেন ৩০ শতাংশ জমি পাকা ধান মেশিনে কাটতে সময় লাগে ২০ মিনিট, আর শ্রমিক দিয়ে কাটতে লাগে ৪ ঘন্টা মেশিনে সময় বেঁচে যায় তিন ঘন্টা ৪০ মিনিট, পরিশেষে কৃষক বলেন এই মহৎ উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমপি মহোদয় কে আমাদের মুরাদনগর উপজেলার সকল কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
ধান কাটা মেশিন গ্রহণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলার আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ,শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।