ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মুরাদনগরে বিশাল বাহিনী নিয়ে তিন উপজেলার অপরাধ নিয়ন্ত্রন করছে ডাকাত সর্দার বালি

*পুলিশের সামনেই মাদক, চুরি, ডাকাতি ছিনতাই চলছে

*ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বসে তিন উপজেলার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে চট্রগ্রামের শীর্ষ ডাকাত সর্দার সৈয়দ আহাম্মেদ বালি। শীর্ষ এ ডাকাত সর্দার বন্দর নগরী চট্রগ্রাম ছেড়ে মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের গাঙ্গেরকুট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের তালিকাভূক্ত এ ডাকাত সর্দারকে শেল্টার দিচ্ছে ওই এলাকার ইউপি সদস্য ফাতু মিয়া। স্থানীয়রা জানায়, তিন ডাকাত ছেলেসহ একটি বাহিনী নিয়ে বালি গাঙ্গেরকুট গ্রামের ফাতু মিয়ার আশ্রয়ে রয়েছে। মুলত আসছে ইউপি নির্বাচনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনায় ফাতু মিয়া এ ডাকাত দলকে এলাকায় এনেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফাতু মিয়া বলেন, আমি বালি ডাকাতকে কখনো আশ্রয় পশ্রয় দেইনি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদিকে তিন যুগের পুরাতন শীর্ষ ডাকাত সর্দার বালি গত তিন মাস যাবত কুমিল্লা-ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার সীমান্তবতর্ী জিরো পয়েন্টে অবস্থান করে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে। বালি বাহিনীর অপরাধের সকল চিত্র সম্পর্কে কুমিল্লার বাঙ্গরা, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নবীনগর এবং কসবা থানা পুলিশ অবগত থাকলেও সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলছে। তবে স্থানীয়দের ধারনা তিন থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এ বালি বাহিনী গাঙ্গেরকুট এলাকায় অবৈধ প্রভাব বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শীর্ষ ডাকাত সর্দার বালি ড্রাইভারের শশুর বাড়ী বাঙ্গরা বাজার ধানাধীন গাঙ্গেরকুট গ্রামে। ভাসমান এ ডাকাত সর্দার যেখানে যায় সেখানেই অপকর্ম করে। গাঙ্গেরকুট এলাকায় তার নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপে। প্রায় তিন যুগের পুরাতন ডাকাত সর্দার বালি এক সময় গাঙ্গেরকুট গ্রামে থাকতো। সে ছিল গন ধোলাইয়ে নিহত ডাকাত সর্দার শাহাদাৎ হোসেন ফারুকের সেকেন্ড ইন কমান্ড। প্রায় দশ বছর আগে ফারুক নিহত হওয়ার পর বালি গাঙ্গেরকুট এলাকা ছেড়ে চট্রগ্রামে চলে যায়। গাঙ্গেরকুট এলাকায় চরম আতঙ্কের নাম বালি ডাকাত। সম্প্রতি প্রভাবশালী ফাতু মিয়ার শেল্টারে এখন এলাকায় ফিরে এসেছে বালি। কিন্তু একা আসেনি সাথে তিন ডাকাত ছেলে এবং নিজ বাহিনীর কিছু সদস্য নিয়ে সে তিন উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে। বাঙ্গরা-কসবা-নবীনগর থানা এলাকার সীমান্তবতর্ী বিভিন্ন গ্রামে বালি বাহিনীর অবস্থান। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এবং বিকল্প সড়ক না থাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির খবর আগে থেকেই পেয়ে যায় বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রন করছে বালি সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে বালি বাহিনী ওই এলাকায় শক্তিশালী হচ্ছে। আর এ সুযোগে এ বাহিনীকে শেল্টার দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।

স্থানীয়রা জানায়, আসছে ইউপি নির্বাচনে ফাতু জয়লাভ করতে এবং এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতেই বালি বাহিনীকে হায়ার করে নিয়ে এসেছে। তবে ফাতু ধরা ছোয়ার বাইরে থেকেই এ বাহিনীকে শেল্টার দিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকার বেশ কিছু অপরাধীও বালি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। গাঙ্গেরকুট গ্রামের লিটন কাজী, স্বপন, আবনসহ বেশ কিছু যুবক বালির ছেলে সোহাগ, সাগর, সোহেলের সাথে যোগ দিয়ে অপরাধ কমকান্ড পরিচালনা করছে।

এদিকে কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার শেষ সীমান্তবতর্ী গ্রাম গাঙ্গেরকুট একেবারেই প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল। দুই জেলার অসংখ্য অপরাধীর অভয়ারন্য এই গ্রাম। গাঙ্গেরকুটে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও তা চোখে পড়ছে না মুরাদনগর এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের। প্রাণের ভয়ে এসব ডাকাতের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ কিংবা প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। আসছে ৩১ জানুয়ারীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাঙ্গেরকুট গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, বিগত তিন দশক যাবত বালি ড্রাইভার এক আতঙ্কের নাম, বালি এবং তার ছেলেদের নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই গুলি করে মেরে পালিয়ে যাবে, তার নির্দিস্ট কোন ঠিকানা নেই, এটা চিহ্নিত একটা ডাকাত পরিবার। এ ছাড়া গাঙ্গেকুট গ্রামের কাজী লিটন, আবন এবং স্বপনও এখন তার সাথে যোগ দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ভয় ভীতির মধ্যে রয়েছে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা বালি ডাকাতকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিট পুলিশের অফিসার প্রতিনিয়তই এলাকায় অবস্থান করে অপরাধী চক্রের সন্ধানে কাজ করছে, আশা করি শিগগিরই এ বাহিনীর সদস্যরা আইনের আওতায় চলে আসবে।

তারিখ :-২৩-০১-২২

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মুরাদনগরে বিশাল বাহিনী নিয়ে তিন উপজেলার অপরাধ নিয়ন্ত্রন করছে ডাকাত সর্দার বালি

আপডেট টাইম ১১:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

*পুলিশের সামনেই মাদক, চুরি, ডাকাতি ছিনতাই চলছে

*ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা

মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বসে তিন উপজেলার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে চট্রগ্রামের শীর্ষ ডাকাত সর্দার সৈয়দ আহাম্মেদ বালি। শীর্ষ এ ডাকাত সর্দার বন্দর নগরী চট্রগ্রাম ছেড়ে মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের গাঙ্গেরকুট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের তালিকাভূক্ত এ ডাকাত সর্দারকে শেল্টার দিচ্ছে ওই এলাকার ইউপি সদস্য ফাতু মিয়া। স্থানীয়রা জানায়, তিন ডাকাত ছেলেসহ একটি বাহিনী নিয়ে বালি গাঙ্গেরকুট গ্রামের ফাতু মিয়ার আশ্রয়ে রয়েছে। মুলত আসছে ইউপি নির্বাচনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনায় ফাতু মিয়া এ ডাকাত দলকে এলাকায় এনেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফাতু মিয়া বলেন, আমি বালি ডাকাতকে কখনো আশ্রয় পশ্রয় দেইনি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদিকে তিন যুগের পুরাতন শীর্ষ ডাকাত সর্দার বালি গত তিন মাস যাবত কুমিল্লা-ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার সীমান্তবতর্ী জিরো পয়েন্টে অবস্থান করে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে। বালি বাহিনীর অপরাধের সকল চিত্র সম্পর্কে কুমিল্লার বাঙ্গরা, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নবীনগর এবং কসবা থানা পুলিশ অবগত থাকলেও সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলছে। তবে স্থানীয়দের ধারনা তিন থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এ বালি বাহিনী গাঙ্গেরকুট এলাকায় অবৈধ প্রভাব বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শীর্ষ ডাকাত সর্দার বালি ড্রাইভারের শশুর বাড়ী বাঙ্গরা বাজার ধানাধীন গাঙ্গেরকুট গ্রামে। ভাসমান এ ডাকাত সর্দার যেখানে যায় সেখানেই অপকর্ম করে। গাঙ্গেরকুট এলাকায় তার নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপে। প্রায় তিন যুগের পুরাতন ডাকাত সর্দার বালি এক সময় গাঙ্গেরকুট গ্রামে থাকতো। সে ছিল গন ধোলাইয়ে নিহত ডাকাত সর্দার শাহাদাৎ হোসেন ফারুকের সেকেন্ড ইন কমান্ড। প্রায় দশ বছর আগে ফারুক নিহত হওয়ার পর বালি গাঙ্গেরকুট এলাকা ছেড়ে চট্রগ্রামে চলে যায়। গাঙ্গেরকুট এলাকায় চরম আতঙ্কের নাম বালি ডাকাত। সম্প্রতি প্রভাবশালী ফাতু মিয়ার শেল্টারে এখন এলাকায় ফিরে এসেছে বালি। কিন্তু একা আসেনি সাথে তিন ডাকাত ছেলে এবং নিজ বাহিনীর কিছু সদস্য নিয়ে সে তিন উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছে। বাঙ্গরা-কসবা-নবীনগর থানা এলাকার সীমান্তবতর্ী বিভিন্ন গ্রামে বালি বাহিনীর অবস্থান। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এবং বিকল্প সড়ক না থাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির খবর আগে থেকেই পেয়ে যায় বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রন করছে বালি সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে বালি বাহিনী ওই এলাকায় শক্তিশালী হচ্ছে। আর এ সুযোগে এ বাহিনীকে শেল্টার দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।

স্থানীয়রা জানায়, আসছে ইউপি নির্বাচনে ফাতু জয়লাভ করতে এবং এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতেই বালি বাহিনীকে হায়ার করে নিয়ে এসেছে। তবে ফাতু ধরা ছোয়ার বাইরে থেকেই এ বাহিনীকে শেল্টার দিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকার বেশ কিছু অপরাধীও বালি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। গাঙ্গেরকুট গ্রামের লিটন কাজী, স্বপন, আবনসহ বেশ কিছু যুবক বালির ছেলে সোহাগ, সাগর, সোহেলের সাথে যোগ দিয়ে অপরাধ কমকান্ড পরিচালনা করছে।

এদিকে কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার শেষ সীমান্তবতর্ী গ্রাম গাঙ্গেরকুট একেবারেই প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল। দুই জেলার অসংখ্য অপরাধীর অভয়ারন্য এই গ্রাম। গাঙ্গেরকুটে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও তা চোখে পড়ছে না মুরাদনগর এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের। প্রাণের ভয়ে এসব ডাকাতের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ কিংবা প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। আসছে ৩১ জানুয়ারীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাঙ্গেরকুট গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, বিগত তিন দশক যাবত বালি ড্রাইভার এক আতঙ্কের নাম, বালি এবং তার ছেলেদের নাম শুনলেই মানুষ ভয়ে কাঁপে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই গুলি করে মেরে পালিয়ে যাবে, তার নির্দিস্ট কোন ঠিকানা নেই, এটা চিহ্নিত একটা ডাকাত পরিবার। এ ছাড়া গাঙ্গেকুট গ্রামের কাজী লিটন, আবন এবং স্বপনও এখন তার সাথে যোগ দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ভয় ভীতির মধ্যে রয়েছে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা বালি ডাকাতকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিট পুলিশের অফিসার প্রতিনিয়তই এলাকায় অবস্থান করে অপরাধী চক্রের সন্ধানে কাজ করছে, আশা করি শিগগিরই এ বাহিনীর সদস্যরা আইনের আওতায় চলে আসবে।

তারিখ :-২৩-০১-২২