মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলার ১৩ নং সদর ইউনিয়নে ঘোড়াশাল গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াশাশ আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারইধরের অভিযোগে বিদ্যুৎসাহী ও অভিভাবক সদস্যকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোড়াশাল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে আবদুল বাক্কী(৪০) ও একই ইউনিয়নের করকটিয়া গ্রামের মৃত আবদুল বাতেন মিয়ার ছেলে আয়নল হক ওরফে শিবু(৪০)।
মামলা সুত্রে জানা যায়,ঘোড়াশাল আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সাথে বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন দোকান ভাড়ার অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো।
তবে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবন ২লক্ষ টাকা বিক্রি করে সেই টাকা থেকেও ৫০হাজার টাকা টাকা আত্মসাৎ করেন এই দুই সদস্য।
১৭ই অক্টোবর উক্ত বিদ্যালয়ের শূন্যপদে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য হয়। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎসাহী সদস্য আবদুল বাক্কী ও অভিভবক সদস্য আয়নল হক শিবু ও অজ্ঞাতনামা ২/৩জন লোক ১৪ই অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করে তাদের পছন্দের ব্যাক্তিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের উপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রধান শিক্ষক তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল করতে থাকে। এক পযার্য়ে তারা প্রধান শিক্ষককে মারধরসহ লাঞ্চিত করে। এঘটনায় প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মুরাদনগর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায় এলাকায় আবদুল বাক্কীর গ্রেফতারের খবরে ঘোড়াশাল গ্রামের বিভিন্নস্থানে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।