মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ইকবাল হোসেন সরকার নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান কৃষি জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। জানা যায়, গত বছরে এ ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। জয়লাভ করার পর থেকেই এ ইউনিয়নের বালির ব্যবসা ও ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার ব্যবসা নিজ আয়ত্তে নিয়ে তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে দেদারসে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার ফলে এ অঞ্চলের কৃষি জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে এ চেয়ারম্যান এ ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হিংজরী নদীর তীরে কয়েক বিঘা জমি কিনে তাতে ড্রেজার স্থাপন করেছেন। এতে করে কৃষি জমির পাশাপাশি নদী থেকে মাটি বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বি-চাপিতলা গ্রামের মুক্তু মিয়ার ছেলে ড্রেজার ব্যবসায়ী মো: অলী বলেন, ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা অবৈধ কিন্তু আমরা পেটের তাগিদে এ ব্যবসা করি। ইকবাল হোসেন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর এ ব্যবসা ৫-৬ মাস বন্ধ ছিল। পরে উনি নিজে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা আরম্ভ করলে আমরাও ড্রেজার চালুর স্বিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু তাতে নানা বাধা আসে। এখন চেয়ারম্যানের মাটি আমি ড্রেজারের মাধ্যমে কাটি এবং শ্রমিক হিসেবে মুজুরি পাই। মাটি ক্রয় বিক্রয় চেয়ারম্যান নিজেই করে। বর্তমানে এ ইউনিয়নের বালি ও ড্রেজার ব্যবসায়ীরা তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। এ এলাকায় তাদের পরিবার ও তার বাহিরে গিয়ে কেহ কিছুই করতে পারে না। মাহুতিকান্দা গ্রামের মৃত. জলিল ব্যপারীর ছেলে সেন্টু মিয়া বলেন, হিংজরী নদীর পাশে ২৮শতক জমি কিনেছিলাম আড়াই লাখ টাকায় কিন্ত তা রেজীস্ট্রি করতে পরি নাই। এর আগেই ইকবাল চেয়ারম্যানের ড্রেজারের কারেনে আমার জমি ভেঙ্গে তার ড্রেজার গর্তে চলে যায় পরে বাধ্য হয়ে আমি এ জমি ১লাখ ১০হাজার এ জমি বিক্রি করি চেয়ারম্যানের কাছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সরকার, আমার কোন ড্রেজার মেশিন নাই। আমার বিরুদ্ধে যারা এ কথাগুলো বলছেন তা অপপ্রচার ছারা আর কিছুই না।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সুমাইয়া মমিন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তারিখ ১৪-১০-২১