মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে শুক্রবার দুপুরে কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রিক্সাড্রইভারসহ তিনজনকে পিটিয়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
জখম করা আহতরা হলেন, খুরুইল গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল হাকিম, কৃষ্ণপুর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও নোয়াখোলা গ্রামের রিক্সা ড্রাইভার সফিক মিয়া।
আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আহত আবদুল হাকিম জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী মাষ্টার বাজারে ৩ শতক দোকান ভিটি বিক্রয় করে। পরে মোহাম্মদ আলী মাষ্টার তার ভাই ফজর আলী মেম্বারের সহযোগীতায় ভূয়া কাজগ তৈরি করে সেই জমিতে পূণরায় দখল দেয়ার চেষ্টা করে আসছিলো। এবিষয়ে মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের সেই কাগজের বিরুদ্ধে আবদুল হাকিম বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে যা বর্তমানে চলমান।
তারই রেশ ধরে গত শুক্রবার দুপুরে আবদুল হাকিম তার ক্রয়কৃত বাজার ভিটিতে কাজ করার সময় মোহাম্মদ আলী মাষ্টার ও তার ভাই ফজর আলী মেম্বারের ভাড়াটে সন্ত্রাস পাশের পরমতলা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে শাহ জালাল, নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ ২০ থেকে ৩০জন জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে মোহাম্মদ আলী মাষ্টার ও তার ভাই ফজর আলী মেম্বারের নির্দেশে শাহ জালালের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আবদুল হাকিমকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় রিক্সাড্রাইভার সফিক মিয়া তাকে বাঁচাতে গেলে শাহ জালালের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে সফিক মিয়াকে জখম করে।
রিক্সাড্রইভার সফিক মিয়াকে দোকান মালিক আবদুল হাকিম ও স্থানীয় সফিকুল ইসলাম বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আবদুল হাকিমে সাথে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহত আবদুল হাকিম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা যাচাই বাছাই করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।