মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়কে হাটু সমান পানি জমার কারনে যানবাহন সহ পথচারী চলাচল ব্যহত হচ্ছে। উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের নবীনগর সড়কের প্রবেশমুখ থেকে আরম্ভ করে প্রায় ২শ’ ৫০মিটার রাস্তা ১মাস যাবত বৃষ্টির পানির নিচে তলিয়ে আছে। এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যার ফলে এ রাস্তা ব্যবহারকারী জনসাধারণ পরেছেন চরম বিপাকে। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কে পানি জমে আছে। বিকল্প সড়ক হিসেবে গাড়ি চালকরা কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করার কারনে প্রতিদিন কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অংশে লেগে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা যানযট। এর ফলে জরুরী সেবা, এ্যম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন যানবাহন নির্দিষ্ট সময়ে পৌছাতে পারেন না গন্তব্যস্থলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পায়ে হেঁটে তো দূরের কথা ঝুঁকি নিয়ে রিকশা ও ইজিবাইজক দিয়েও চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়ে উপজেলা সদর ও কোম্পানীগঞ্জ বাজারে আসা জনসাধারনের। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ার কারনে এ রাস্তায় যানবাহন তেমন চলে না। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রাইভেটকার ও নছিমন বিকল হয়ে পরে থাকতে দেখা গেছে। সড়কের মধ্যে পানি জমায় জনসাধারণের হেঁটে যাবার কোনো সুযোগ নেই।
প্রাইভেটকার চালক মো: খলিল বলেন, সড়কে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে সড়কে বেহালদশায় পরিণত হয়। কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অংশে নবীনগর সড়কের অল্প একটু জায়গা অতিক্রম করতে গাড়ির ইঞ্জিনে পানি গিয়ে স্টার্ট বন্ধ হয়েছে চারবার। আবার কোন কোন সময় ভাগ্য খারাপ হলে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ির স্টার্ট হয় না।
কোম্পানীঞ্জ বাজারের টেলিকম ব্যবসায়ী এম. বরকতউল্লাহ বলেন, প্রায় একমাস যাবত এ রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। মাঝে মাঝে রাস্তার পানি পাশের কলেজ সুপার মার্কেটে প্রবেশ করার ফলে ক্রেতারা মার্কেটে যাতায়াত করতে পারে না। এ রাস্তা সংস্কার কাজ করা অতি জরুরী।
কুমিল্লা অঞ্চলের সওজে’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, কোম্পানীগঞ্জ নবীনগর সড়কের মেরামতের কাজ চলছে। এ জায়গায় পানি জমে থাকার কারনে আমরা কাজ করতে পারিনি। উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি ড্রেন নির্মানের কথা রয়েছে সেই ড্রেন নির্মান হলেই আমরা রাস্তার কাজ আরম্ভ করব।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, বর্তমানে পানি সরানোর জন্য রাস্তার পাশে একটি ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে। আমরা ড্রেন নির্মান করার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি আশা করছি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী মাসেই ড্রেন নির্মানের কাজ আরম্ভ করতে পারব।