ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মুরাদনগরের করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে। রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাই নি। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মুরাদনগরের করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

আপডেট টাইম ০১:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে। রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাই নি। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।