ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

মুজিববর্ষের মধ্যে সব ঘরে আলো জ্বালবো: প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিববর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো। বর্তমানে ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলা এবং ৪১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার; শতভাগ বিদ্যুতায়িত ৭টি জেলা; ফেনীতে ১১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১৮টি জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন: চীনের ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেবে আলিবাবা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৪ জেলা আমাদের, যার মধ্যে ৪০টি জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে গেলো। ৪১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ইনশাল্লাহ মুজিববর্ষের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো।

রাজশাহীতে ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধনের পর রাজশাহীবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছেলে-মেয়েরা যে ট্রেনিং নেবে তার মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে। তারা চাকরি নেবে না, চাকরি দেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে-মেয়েদের আইটিতে দক্ষ করে তুলতে আমরা বাজেটে আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। তাছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক ও এসএমই’র মাধ্যমে টাকা দিয়েও আমরা সুযোগ করে দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একজন নারী উদ্যোক্তা এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। রাজশাহীতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, শিল্প-কারখানায় পিছিয়ে পড়া রাজশাহীতে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর এই হাইটেকপার্ক স্থাপন করায় এ শহরের মানুষ উচ্ছ্বসিত বলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, প্রকল্পটির জন্য রাজশাহীর মানুষ কৃতজ্ঞ।

প্রযুক্তির ব্যাপকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর একটা জাতি-গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি আগ্রহী হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিচ্ছি। শুধু নিজেদের শিক্ষার জন্য না। রপ্তানিখাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে। আমাদের ছেলেমেয়েরাও ঘরে বসে এখানে বসে শিখে শুধুমাত্র অনলাইনে তারা এখন আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারছে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করতে চাই।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

মুজিববর্ষের মধ্যে সব ঘরে আলো জ্বালবো: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৬:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিববর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো। বর্তমানে ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলা এবং ৪১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার; শতভাগ বিদ্যুতায়িত ৭টি জেলা; ফেনীতে ১১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১৮টি জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন: চীনের ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেবে আলিবাবা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৪ জেলা আমাদের, যার মধ্যে ৪০টি জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে গেলো। ৪১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ইনশাল্লাহ মুজিববর্ষের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো।

রাজশাহীতে ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধনের পর রাজশাহীবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছেলে-মেয়েরা যে ট্রেনিং নেবে তার মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে। তারা চাকরি নেবে না, চাকরি দেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে-মেয়েদের আইটিতে দক্ষ করে তুলতে আমরা বাজেটে আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। তাছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক ও এসএমই’র মাধ্যমে টাকা দিয়েও আমরা সুযোগ করে দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একজন নারী উদ্যোক্তা এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। রাজশাহীতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, শিল্প-কারখানায় পিছিয়ে পড়া রাজশাহীতে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর এই হাইটেকপার্ক স্থাপন করায় এ শহরের মানুষ উচ্ছ্বসিত বলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, প্রকল্পটির জন্য রাজশাহীর মানুষ কৃতজ্ঞ।

প্রযুক্তির ব্যাপকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর একটা জাতি-গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি আগ্রহী হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিচ্ছি। শুধু নিজেদের শিক্ষার জন্য না। রপ্তানিখাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে। আমাদের ছেলেমেয়েরাও ঘরে বসে এখানে বসে শিখে শুধুমাত্র অনলাইনে তারা এখন আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারছে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করতে চাই।