ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মির্জাপুরের সংসদ একাব্বর হোসেনকে শ্রদ্ধা,ভালবাসা ও যাথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও যাথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের টানা চার বারের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ একাব্বর হোসেনকে শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি ছিলেন। আজ বুধবার মির্জাপুর উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে তার নামাজে জানায় জনসমুদ্রে পরিনত হয়। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিসহ হাজার হাজার জনগনের উপস্থিতিতে পুরো স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুই টায় রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ১৮ অক্টোবর তিনি ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ্য হয়ে পরলে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২০ অক্টোবর প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি উচ্চ রক্ষচাপ, ডায়াবেটিস এবং তার দুটি কিডনিউ ডামেজ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার বাদ এশা ধানমন্ডির আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী, স্পিকার ও মন্ত্রী পরিষদের সচিবের পক্ষে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জাননো হয়।
আজ বুধবার তার মরদেহ সকাল আটটায় মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাস ভবনে এসে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তার নিজ বাস ভবন মির্জাপুর বাজার, পুষ্টকামুরী, তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান মির্জাপুর সরকারি কলেজ ও আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজে মরদেহ নেওয়া হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগন তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দুপুর দেড়টায় তার মরদেহ মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম আনা হলে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন, বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় একাব্বর হোসেনের কর্মময় ও দীর্ঘ রাজনীতি জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, তার পুত্র ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, টাঙ্গাইল -৫ আসনের মো. ছানোয়র হোসেন এমপি. টাঙ্গাইল-৮ আসনের এড. জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক। জানাজার পুর্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশসক ড. মো. আতাউল গনির উপস্থিতিতে চৌকুস পুলিশ বাহিনীর সদস্যগনগন তাকে গার্ড অব অর্নার দেন। বাদ আসর পুষ্টকামুরী গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রোজিনা বেগম। দুই ভাই ও ৬ বোনের তিনি চাতুর্থ সন্তান। তার স্ত্রী ঝরনা হোসনে, এক পুত্র ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও দুই কন্যা বড় মেয়ে একতা ও ছোট মেয়ে ঈশিতা রয়েছে। একাব্বর হোসেন ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এসএসসি পাশ করার পর তিনি ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার অগ্রনী ভুমিকা। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমির কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নং সেক্টর যুদ্ধ করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান, ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মির্জাপুরে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। একজন সাধা মনের মানুষ এবং তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। টানা চার বারের এমপি হওয়ায় তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে উন্নয়নের এক রোড মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন সুসংগঠিত।
জানাজায় তানবীর হাসান ছোট মনির এমপি, সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম আলমগীর, সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, এসিল্যান্ড মীর্জা জুবায়ের হোসেন, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখ দিপু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা উপস্থিথ ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন”

মির্জাপুরের সংসদ একাব্বর হোসেনকে শ্রদ্ধা,ভালবাসা ও যাথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়

আপডেট টাইম ০৬:০৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

মোঃ মশিউর রহমান/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও যাথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর সংসদীয় আসনের টানা চার বারের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ একাব্বর হোসেনকে শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি ছিলেন। আজ বুধবার মির্জাপুর উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে তার নামাজে জানায় জনসমুদ্রে পরিনত হয়। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিসহ হাজার হাজার জনগনের উপস্থিতিতে পুরো স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুই টায় রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ১৮ অক্টোবর তিনি ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ্য হয়ে পরলে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২০ অক্টোবর প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি উচ্চ রক্ষচাপ, ডায়াবেটিস এবং তার দুটি কিডনিউ ডামেজ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার বাদ এশা ধানমন্ডির আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী, স্পিকার ও মন্ত্রী পরিষদের সচিবের পক্ষে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জাননো হয়।
আজ বুধবার তার মরদেহ সকাল আটটায় মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাস ভবনে এসে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তার নিজ বাস ভবন মির্জাপুর বাজার, পুষ্টকামুরী, তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান মির্জাপুর সরকারি কলেজ ও আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজে মরদেহ নেওয়া হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগন তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দুপুর দেড়টায় তার মরদেহ মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম আনা হলে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন, বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় একাব্বর হোসেনের কর্মময় ও দীর্ঘ রাজনীতি জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, তার পুত্র ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, টাঙ্গাইল -৫ আসনের মো. ছানোয়র হোসেন এমপি. টাঙ্গাইল-৮ আসনের এড. জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওায়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক। জানাজার পুর্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশসক ড. মো. আতাউল গনির উপস্থিতিতে চৌকুস পুলিশ বাহিনীর সদস্যগনগন তাকে গার্ড অব অর্নার দেন। বাদ আসর পুষ্টকামুরী গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৃত মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মাতার নাম রোজিনা বেগম। দুই ভাই ও ৬ বোনের তিনি চাতুর্থ সন্তান। তার স্ত্রী ঝরনা হোসনে, এক পুত্র ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও দুই কন্যা বড় মেয়ে একতা ও ছোট মেয়ে ঈশিতা রয়েছে। একাব্বর হোসেন ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। এসএসসি পাশ করার পর তিনি ঢাকা সরকারি তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার অগ্রনী ভুমিকা। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমির কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। এইচএসসি পাশের পর তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১ নং সেক্টর যুদ্ধ করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা বিআরডিরি চেয়ারম্যান, ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মির্জাপুরে বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। একজন সাধা মনের মানুষ এবং তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। টানা চার বারের এমপি হওয়ায় তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে উন্নয়নের এক রোড মডেল হিসেবে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন সুসংগঠিত।
জানাজায় তানবীর হাসান ছোট মনির এমপি, সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম আলমগীর, সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, এসিল্যান্ড মীর্জা জুবায়ের হোসেন, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখ দিপু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম ও মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা উপস্থিথ ছিলেন।