আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি
বালু উত্তোলন ক্ষতিকর-এ ব্যাপারে মোটামুটি সবাই একমত। কিন্তু তা কতটা ক্ষতিকর বা এর প্রভাব আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে কতটা পড়ছে, তা নিয়ে আরও গুরুতর ভাবনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না।এসবের তোয়াক্কা না করে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারকদম বাজার থেকে ৪০০ মিটার দূরে ফুলপাড়ার জান ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে এক অসাধু ব্যাবসায়ী পুকুর থেকে ব্রীজ ও রাস্তার পশে দীর্ঘদীন যাবৎ ভেকু যোগে অবাধে বালু বিক্রি করে আসছে। যার ফলে ব্রীজ ভাঙ্গা প্রায় শেষ,জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে । অন্যদিকে ১৭ নং ইমাদপুর ইউনিয়নের রহমতপুর ব্রীজ সংলগ্ন রিফুল নামক আর এক ব্যাবসায়ী নদী গর্ভের চর থেকে ট্রক্টর যোগে বালু বিক্রি করে আসছে। যার ফলে নদী ভাঙ্গন থেকে শুরু করে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। পরিকল্পনাহীন যত্রতত্র বালু উত্তোলন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
বালু উত্তোলনের কাছাকাছি মাটির ক্ষয় যেমন ঘটছে, তেমনি মাটির গুণাগুণও নষ্ট হচ্ছে।
বঅবৈধ বালু উত্তোলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন রয়েছে বলে বহু অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক জায়গায় এর সত্যতাও রয়েছে।