ইব্রাহীম মন্ডল,মিঠাপুকুর(রংপুর)
রংপুরের মিঠাপুকুরে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারকচক্র। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রুপম স্থানীয় ৩টি দোকানে এসিল্যান্ড কথা বলবে বলে ফোন ধরিয়ে দিলে অপরপ্রান্ত থেকে ব্যাবসায়ীর কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন।
জানা গেছে,মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মোঃ রুপম মিয়া শনিবার (০৮ এপ্রিল) ৩ টি দোকানে এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ করবে বলে ভয় দেখিয়ে ফোন ধরিয়ে দেন।
০১৪০৮৫১৫৬০৪ নম্বর থেকে বৈরাতী বাজারের সাথী মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাদা মিয়া উদ্যোক্তার ফোন থেকে কথা বলে। এ সময় কলদাতা নিজেকে মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পরিচয় দিয়ে বলেন, র্যাব ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তোমার দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তুমি বাজারে ব্যবসা করতে চাইলে আমার নগদ নাম্বারে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। তাৎক্ষনিক আতোয়ার সু- স্টোর দোকানের নগদ এজেন্ট নম্বর হতে ২৫ হাজার টাকা পাঠান তিনি।
সাইমুন বেকারীর ম্যানাজার রিপন মিয়া বলেন,বৈরাতীহাট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রুপম মিয়া আমাকে এসে বলে এসিল্যান্ড আপনার সাথে কথা বলবে বলে তার ফোন ধরিয়ে দেন। অপরপ্রান্ত থেকে ফোনে বলেন আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি এতে পুলিশ সাংবাদিক থাকবে। আপনি যদি আমার নগদ নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন লিস্ট থেকে আপনার নাম কেটে দেওয়া হবে।
বৈশাখী হোটেলের কর্ণধার মলিন শাহ বলেন,পরিষদের উদ্যোক্তা রুপম এসে বলেন এসিল্যান্ড আপনার সাথে কথা বলবে অপরপ্রান্ত থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি এড়িয়ে যাই।
উদ্যোক্তা রুপম সাংবাদিকদের বলেন,আমাকে ইমাদপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা শুভ ফোন করে বিষয়টি বলেন। তার কথামত আমি দোকানগুলোতে যেয়ে এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলিয়ে দেই। পরে জানতে পারি সাদা মিয়া ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
এসিল্যান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ভূক্তভূগী ব্যবসায়ী মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রুহুল আমিন জানান,একটি প্রতারক চক্র এই কাজটি করেছে। তদন্তপূর্বক আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।