ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

মিজানের বাসায় ঈদ আনন্দ, ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান

এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

“ঈদ মানেই আনন্দ” “মানুষ মানুষের জন্য” মানবিকতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ও ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা সহ মিজানের পরিবারের সকল দায়িত্ব নিলেন।

কথা ছিল খেলাধুলা করবে, স্কুলে যাবে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখবে! কিন্তু বাবা হারানোর পর পেটের দায়ে ১০ বছরের শিশু মিজানকে ধরতে হয় ভ্যানের হাতল! ভ্যান চালক মিজান!

অথচ এই নিষ্ঠুর দুনিয়া, তার পেটের অন্ন যোগানোর অবলম্বন ভ্যানটিও ঈদের আগের রাতে কৌশলে ভুলিয়ে ভালিয়ে চুরি করে নেয় এক অমানুষ।

ভ্যান হারিয়ে শোকে আছন্ন মিজানের কান্না হৃদয় ছুয়েছিল অনেকের! অনেকে দূঃখে ভারাক্রান্ত হয়েছিলাম। সেই ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরেই মিজানের পাশে দাড়িছে সাধারণ মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মিজানকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তার মুখে ঈদের হাসি ফিরিয়ে দিলেন মানবিকতার ফেরিওয়ালা সুজন।

ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা কামারপুকুর নীলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মিজান (১০)। বাবা মারা যাওয়ার পরে নিজেই পরিবারের হাল ধরেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসারের ছোট বোন ও মা কে নিয়ে সুখেই কাটছিল মিজানের জীবন।

কিন্তু গত ২০ই জুলাই দুপুরে একজন চোঁর ছলেবলে কৌশলে মিজানের ভ্যানটি তার কাছ থেকে চুড়ি করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মিজানের মুখের হাসিঁটি হারিয়ে গিয়েছে। কোনভাবেই মিজানের কান্না থামানো যাচ্ছিল না। মিজানের কান্নায় সেই এলাকার পরিবেশটা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

পরে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটুর ফেসবুক থেকে “মিজানের জীবনযুদ্ধের গল্প” নামে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে অনেকেই মিজানকে সহযোগীতার হাঁত বাড়িয়ে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদ এর দিনে মিজানের বাসায় ঈদ উদ্যাপন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন এবং মিজানকে ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান করেন।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, মিজান এই ছোট্ট বয়সে সংসারের হাল ধরেছে। আমি ফেসবুকে তার হৃদয় বিদারক ঘটনাটি পড়ার পরেই তাকে সহযোগীতা করার জন্য তার বাসায় আসি। মিজান এর মত ছেলে আমাদের সমাজের গর্ব। এই বয়সে মা, বোন এর দায়িত্ব মিজানের উপর। আমি মিজানের মা এর একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহার আবাসন প্রকল্পের একটি ঘর দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো। তবে আশা থাকবে, মিজান ফিরুক পড়ার টেবিলে, আনন্দের শৈশবে।

মিজানের কাছে কেমন লাগছে জানতে চাইলে মিজান বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনাই এভাবে আমার বাসায় ঈদ হবে কোনদিন। সব কিছু আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে। যারা আমার এই দুর্দিনে আমার পাশে দাড়িয়েছে তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু, হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

মিজানের বাসায় ঈদ আনন্দ, ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান

আপডেট টাইম ০৫:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১

এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

“ঈদ মানেই আনন্দ” “মানুষ মানুষের জন্য” মানবিকতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ও ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা সহ মিজানের পরিবারের সকল দায়িত্ব নিলেন।

কথা ছিল খেলাধুলা করবে, স্কুলে যাবে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখবে! কিন্তু বাবা হারানোর পর পেটের দায়ে ১০ বছরের শিশু মিজানকে ধরতে হয় ভ্যানের হাতল! ভ্যান চালক মিজান!

অথচ এই নিষ্ঠুর দুনিয়া, তার পেটের অন্ন যোগানোর অবলম্বন ভ্যানটিও ঈদের আগের রাতে কৌশলে ভুলিয়ে ভালিয়ে চুরি করে নেয় এক অমানুষ।

ভ্যান হারিয়ে শোকে আছন্ন মিজানের কান্না হৃদয় ছুয়েছিল অনেকের! অনেকে দূঃখে ভারাক্রান্ত হয়েছিলাম। সেই ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরেই মিজানের পাশে দাড়িছে সাধারণ মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মিজানকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ও পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তার মুখে ঈদের হাসি ফিরিয়ে দিলেন মানবিকতার ফেরিওয়ালা সুজন।

ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা কামারপুকুর নীলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মিজান (১০)। বাবা মারা যাওয়ার পরে নিজেই পরিবারের হাল ধরেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সংসারের ছোট বোন ও মা কে নিয়ে সুখেই কাটছিল মিজানের জীবন।

কিন্তু গত ২০ই জুলাই দুপুরে একজন চোঁর ছলেবলে কৌশলে মিজানের ভ্যানটি তার কাছ থেকে চুড়ি করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে মিজানের মুখের হাসিঁটি হারিয়ে গিয়েছে। কোনভাবেই মিজানের কান্না থামানো যাচ্ছিল না। মিজানের কান্নায় সেই এলাকার পরিবেশটা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

পরে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটুর ফেসবুক থেকে “মিজানের জীবনযুদ্ধের গল্প” নামে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে অনেকেই মিজানকে সহযোগীতার হাঁত বাড়িয়ে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদ এর দিনে মিজানের বাসায় ঈদ উদ্যাপন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন এবং মিজানকে ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা প্রদান করেন।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, মিজান এই ছোট্ট বয়সে সংসারের হাল ধরেছে। আমি ফেসবুকে তার হৃদয় বিদারক ঘটনাটি পড়ার পরেই তাকে সহযোগীতা করার জন্য তার বাসায় আসি। মিজান এর মত ছেলে আমাদের সমাজের গর্ব। এই বয়সে মা, বোন এর দায়িত্ব মিজানের উপর। আমি মিজানের মা এর একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহার আবাসন প্রকল্পের একটি ঘর দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো। তবে আশা থাকবে, মিজান ফিরুক পড়ার টেবিলে, আনন্দের শৈশবে।

মিজানের কাছে কেমন লাগছে জানতে চাইলে মিজান বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনাই এভাবে আমার বাসায় ঈদ হবে কোনদিন। সব কিছু আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে। যারা আমার এই দুর্দিনে আমার পাশে দাড়িয়েছে তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু, হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।