ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

মা কতৃক শিশু সন্তান হত্যা,লাশ গুমের চেষ্টা

  • নয়ন দাস
  • আপডেট টাইম ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৮০ বার পড়া হয়েছে
অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ন সমাজের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে দিবারাত্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। শুধু সংঘটিত  অপরাধ দমনই নয়, নিয়ন্ত্রন, তদন্ত সহ অপরাধ নিবারনে সার্বক্ষণিক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকালে কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নে একই গ্রামের জনৈক মোঃ আকবর আলী, পিতা- মৃত আক্কাছ আলী এর ধান ক্ষেত এর পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানের ক্ষেতের ভিতরে নিখোঁজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন  কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং  মৃত ফরহাদ হোসেন এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। এই সংক্রান্তে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। উলিপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব রুহুল আমিন এর চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে  হত্যার মূল রহস্য।
ভিকটিম গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করে, ফলে ভিকটিম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে  মৃত্যুবরণ করে।  ঘাতক মা ফেরদৌসী বেগম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। কিন্তু উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন হয় নির্মম সত্য।আসামী মোছাঃ ফেরদোসি বেগম ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ঘটনায় অবগত ভিকটিমের খালু আ: মজিদ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

মা কতৃক শিশু সন্তান হত্যা,লাশ গুমের চেষ্টা

আপডেট টাইম ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসন। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ন সমাজের লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে দিবারাত্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। শুধু সংঘটিত  অপরাধ দমনই নয়, নিয়ন্ত্রন, তদন্ত সহ অপরাধ নিবারনে সার্বক্ষণিক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকালে কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নে একই গ্রামের জনৈক মোঃ আকবর আলী, পিতা- মৃত আক্কাছ আলী এর ধান ক্ষেত এর পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানের ক্ষেতের ভিতরে নিখোঁজ মোঃ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন  কে খবর দেয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং  মৃত ফরহাদ হোসেন এর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম বরাবর প্রেরণ করেন। এই সংক্রান্তে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। উলিপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব রুহুল আমিন এর চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে  হত্যার মূল রহস্য।
ভিকটিম গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে আঘাত করে, ফলে ভিকটিম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে  মৃত্যুবরণ করে।  ঘাতক মা ফেরদৌসী বেগম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। কিন্তু উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন হয় নির্মম সত্য।আসামী মোছাঃ ফেরদোসি বেগম ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ঘটনায় অবগত ভিকটিমের খালু আ: মজিদ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।