ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বশর ভূঁইয়া পরিষদের ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখ’কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

মা ইলিশ ও সম্পদ রক্ষায় নতুন দুটি প্রস্তাবনা – আহমেদ আবু জাফর

সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত মা ইলিশ রক্ষার পাশাপাশি আরো কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরতে চাই। ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনণ এ মৌসুমে নতুন এই প্রস্তাবণাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর করা হলে  মা ইলিশ ও ইলিশ সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল আশা করা সম্ভব।

ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ প্রধান জোনগুলোতে ৫টি বিভাগীয় টিম গঠনের মাধ্যমে কাজ চলছে। গত ১১ অক্টোবর আওতাধীন ৩৬ টি জেলায় ৩৬ লাখ এবং ২১০ টি উপজেলায় এক কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়। মৎস সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যয় বাবদ উপ-সচিব মো: আব্দুর রহমান চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম, জাটকা নিধণ প্রতিরোধ কার্যক্রম, বেহন্দি ও অন্যান্য অবৈধ জাল অপসারনে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা এবং জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ কার্যক্রমের জন্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভিযান।

এ অভিযান সফল করতে প্রস্তাবণা নিম্মরুপ:

১. জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের নৌকা এবং জাল ২৪ ঘন্টার নোটিশে স্বস্ব উপজেলা মৎস্য অফিসারের নিকট জমা দিয়ে সনদ নিতে হবে।

২. সনদপ্রাপ্ত জেলেদেরকেই কেবলমাত্র অনুদান/সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। এর বাইরে কাউকে অনুদান বন্ধ করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এই দু’টি কাজ করার ফলে ইলিশ রক্ষায় সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় কিংবা ব্যয় বন্ধ হবে। ইলিশ রক্ষার নামে সরকারী প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের সময় বাঁচবে এবং নৌকা বাইচ বন্ধ হবে। এতে জেলেরা মামলা-হামলা, জেলজুলুম কিংবা জানমালের ক্ষতির কবল থেকে মুক্তি পাবেন। জেলেদের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক আরো গভীর হবে। ইলিশের উৎপাদন আগের সব বছরের তুলনায় বেড়ে যাবে।

প্রতিবছর সরকার এই খাত থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব আয় করে থাকেন। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে এ সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে অনেকাংশে তা ভেস্তে যাচ্ছে।

আমরা আশা করবো সরকারের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র দুটি কাজ করলেই মা ইলিশ রক্ষা পাবে এবং আগের তুলনায় ইলিশ উৎপাদন নিশ্চিত বেড়ে যাবে।

আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ, কেন্দ্রিয় কমিটি

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

মা ইলিশ ও সম্পদ রক্ষায় নতুন দুটি প্রস্তাবনা – আহমেদ আবু জাফর

আপডেট টাইম ০৯:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০

সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত মা ইলিশ রক্ষার পাশাপাশি আরো কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরতে চাই। ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনণ এ মৌসুমে নতুন এই প্রস্তাবণাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর করা হলে  মা ইলিশ ও ইলিশ সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল আশা করা সম্ভব।

ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ প্রধান জোনগুলোতে ৫টি বিভাগীয় টিম গঠনের মাধ্যমে কাজ চলছে। গত ১১ অক্টোবর আওতাধীন ৩৬ টি জেলায় ৩৬ লাখ এবং ২১০ টি উপজেলায় এক কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়। মৎস সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যয় বাবদ উপ-সচিব মো: আব্দুর রহমান চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম, জাটকা নিধণ প্রতিরোধ কার্যক্রম, বেহন্দি ও অন্যান্য অবৈধ জাল অপসারনে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা এবং জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ কার্যক্রমের জন্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভিযান।

এ অভিযান সফল করতে প্রস্তাবণা নিম্মরুপ:

১. জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের নৌকা এবং জাল ২৪ ঘন্টার নোটিশে স্বস্ব উপজেলা মৎস্য অফিসারের নিকট জমা দিয়ে সনদ নিতে হবে।

২. সনদপ্রাপ্ত জেলেদেরকেই কেবলমাত্র অনুদান/সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। এর বাইরে কাউকে অনুদান বন্ধ করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এই দু’টি কাজ করার ফলে ইলিশ রক্ষায় সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় কিংবা ব্যয় বন্ধ হবে। ইলিশ রক্ষার নামে সরকারী প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের সময় বাঁচবে এবং নৌকা বাইচ বন্ধ হবে। এতে জেলেরা মামলা-হামলা, জেলজুলুম কিংবা জানমালের ক্ষতির কবল থেকে মুক্তি পাবেন। জেলেদের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক আরো গভীর হবে। ইলিশের উৎপাদন আগের সব বছরের তুলনায় বেড়ে যাবে।

প্রতিবছর সরকার এই খাত থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব আয় করে থাকেন। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ভাবে এ সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে অনেকাংশে তা ভেস্তে যাচ্ছে।

আমরা আশা করবো সরকারের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র দুটি কাজ করলেই মা ইলিশ রক্ষা পাবে এবং আগের তুলনায় ইলিশ উৎপাদন নিশ্চিত বেড়ে যাবে।

আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ, কেন্দ্রিয় কমিটি