আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির দুর্নীতিবিরোধী কমিশন (এমএসিসি) জানায়, ওয়ানএমডিবির প্রতিবেদনে গরমিল থাকায় অধিকতর তদন্তের জন্য গতকাল সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম- দ্য স্টার। এ বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুত্রজায়ায় দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের সদর দপ্তরে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মাথায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রয়টার্স।
ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর আগে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে দুই দফায় গ্রেপ্তার হন নাজিব রাজাক। জুলাইয়ে গ্রেপ্তারের আগে নাজিবের বিভিন্ন বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেবার কর্তৃপক্ষের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখা এবং এক মিলিয়ন রিঙ্গিতের বন্ডে জামিন পান তিনি।
জামিনে মুক্তি পেলেও তখন অর্থ পাচারসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। মালয়েশিয়ার সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ?সাতটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তদন্তের অংশ হিসেবে গত বুধবার দুর্নীতিবিরোধী কমিশন তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ৬২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের উৎস জানতে চান।
নাজিব রাজাক ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে এ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তবে সৌদি সূত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, ২০১৩ সালের নির্বাচনে জিততে মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দিয়েছিল সৌদি আরব। মূলত দেশটিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ঠেকাতেই তাকে এ অর্থ দেয়া হয়।
মালয়েশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক দল ইসলামপন্থি সংগঠন প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএএস)। এ দলটির উদ্যোক্তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত। মূলত এ দলটিকে ঠেকাতেই নাজিবকে তহবিল দেয় সৌদি আরব। যে নির্বাচনের জন্য এ তহবিল দেয়া হয় সে নির্বাচনে বিজয়ী হয় নাজিব রাজাকের দল। তবে গত নির্বাচনে বিগত ৫০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফলাফলের মুখে পড়ে দলটি।