নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বনশ্রীতে এক গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন তার গৃহকর্তা। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটককৃত শরিফ চৌধুরী নিজেকে একজন মানবাধিকারকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি নিজেকে মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তবে তার কাছ থেকে এই পরিচয়ের কোনো আইডি কার্ড পায়নি পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রী ১১ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়ির ছয়তলা থেকে ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেন খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
১৪ বছর বয়সী নির্যাতিতা শিশুটির নাম হাওয়া আক্তার। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১৬ নম্বর চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাওয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার নগরচর গ্রামের সুনু মিয়ার মেয়ে।
উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। মেয়েটির দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে। পায়ের পাতা ফোলা।
মেয়েটির পুরো পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমাকে আটক করা হয়েছে। শরিফ চৌধুরী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহকর্মীর পরিবারের লোকজন আসলে মামলা করা হবে। আর অভিযুক্ত শরিফ চৌধুরী নিজেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে সেটি এখন বন্ধ থাকায় তিনি এখন ব্যবসা করেন।