ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মাধবপুরে স্বপ্ন পুরণের আশায় নতুন ঘরে বসতি।

মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বড়ধলিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে নিরাশ্রয় দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প মির্জাপুর গ্রামের অসহায় ভূমিহীন বাচ্চু মিয়া, সাহারা খাতুন, মতি মিয়া, আব্দুর নূর ও বিল্লাল মিয়ার নিজের কোন জমি ছিলনা ছিলনা নিজের কোন ঘর বাড়ি। কেউ ভাড়াবাড়ি নিয়ে কেউ বা আবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করত। কিন্তু এখন তাদের ৫টি পরিবার বড়ধলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে রঙ্গীন ঘরে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছে। তারা জীবনে কখনও চিন্তা করেনি সরকার তাদের সরকারি জায়গায় আধাপাকা টিনের ঘর তৈরি করে দিবে।

গৃহহীনরা নতুন ঘর পেয়ে তাদের সংসার নতুন ভাবে সাজানো স্বপ্ন দেখছে আশয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা সাহারা খাতুন বলেন, তার স্বামী সামান্য দিনমজুর যা টাকা রোজগার করতেন তা দিয়ে তাদের সংসার চলা কঠিন ছিল। ছোট্র একটি ঝুপড়ি ঘর ভাড়া নিয়ে তারা মির্জাপুর গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতেন। কিন্তু সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করার মত সুন্দর পরিবেশে একটি ঘর দেওয়ায় এই ঘরে তারা এখন বসবাস করছে। এতে তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে অপর বসবাসকারী মতি মিয়া বলেন, তার সংসারে অভাবের অন্ত ছিলনা তাদের সামান্য কোন জমিও নেই কিন্তু সরকার জমিসহ একটি ঘর তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

এখন তারা সরকারি ঘরে বসবাস করে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যুৎ,পানি সরবরাহ, সুন্দর স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে জগদীশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার বড়ধুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে যে ৫টি পরিবার বসবাস করছে, তারা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ছিল এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর পরিবেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করছে। এখন তারা ধীরে ধীরে উন্নয়নের মূল স্রোতে প্রবেশ করবে মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন মৌলিক অধিকার বাসস্থান তাদের পুরণ হয়েছে

তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনতে উদ্যেক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হবে যাতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয় মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, বড়ধুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ৫ টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের স্বাবলম্বী করতে আমাদের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে।

মাধবপুরে অবাধে চলছে অটোরিকশা-টমটম, বাড়ছে দুর্ঘটনা।

লিটন পাঠান, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবাধে চলছে অটোরিকশা ও টমটম। দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ব্যাটারি চালিত এসব যানবাহন। মাধবপুর পৌরশহর সহ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের অলিগলি ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এখন এসব যানবাহনের রাজত্ব। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো চলাচলের ফলে বেড়ে চলছে যানযট। দূরপাল্লার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না, ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অনেক অসুস্থ রোগী অটোরিকশার এলোমেলো চলাফেরা ও যানযটের কারণে জরুরি সেবাগ্রহণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোন যানবাহনে করে হাসপাতালে যেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকেও আদায় করছে বাড়তি ভাড়া। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে চলে। সংখ্যায় বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। যার ফলে সমগ্র উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নোয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল কাশেম বলেন, অটোরিকশা চার্জের ফলে বিদ্যুৎতের লোড বাড়ছে। তবে অটোরিকশা চার্জিং নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি। তবে বর্তমানে কেউ যদি অটোরিকশা চার্জ করতে চায় তাহলে তাকে আলাদাভাবে চার্জিং পাওয়ার স্টেশন করে চার্জ করতে হবে। এলোপাতারি অটোরিকশা চার্জ করা অবৈধ।

অটোরিকশার উপদ্রবের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জাহান রনি বলেন, অটোরিকশার সংখ্যা বেশি হওয়ায় ও তাদের বেপরোয়া চলাচলের জন্য প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাজারের ভেতরে হাটবাজার করার জন্য চলাফেরা করতে কষ্ট হয় আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এইসব অটোরিকশাগুলোকে একটা নিয়মের ভেতরে নিয়ে আসা দরকার, না হলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

মাধবপুর পৌরসভায় অটোরিকশা দ্বারা সৃষ্ট যানযট নিরসনের ব্যাপারে পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, ইতিমধ্যে তাদের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার উদ্দোগ নেয়া হয়েছে।এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়েছে। সকল অটোরিকশা ও টমটমগুলোকে দুইটা আলাদা আলাদা সময়ে চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।ফলে যানযট ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করি। অটোরিকশা চালাতে পরিশ্রম কম হয় বিধায় অনেকেই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে চলে আসছেন এই পেশায়। ফলে দেখা দিচ্ছে কৃষিকাজের শ্রমিক সংকট।

যানযট নিরসন ও যানবাহনের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে মাধবপুর থানার ট্রাফিক জোনের ওসি মো. রমজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা পৌর শহরসহ অন্যান্য জায়গায় অটোরিকশা ও টমটম চলাচল বেড়েছে। আমরা উপজেলার যানযট নিরসনে কাজ করছি।প্রতিদিনই অটোরিকশা মহাসড়কে চলতে নিষেধ করা হচ্ছে এবংঅবৈধভাবে চলাফেরা করায় অটোরিকশা আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মাধবপুরে ট্রাকের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা এক চালক নিহত।

লিটন পাঠান, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রতনপুর নামক স্থানে ট্রাকের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে ফারুক মিয়া (৩৭) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে, ফারুক মিয়া ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার জগাইর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রাকের হেলপার ইমরান মিয়াকে (২২) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার গভীর রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক মাধবপুর উপজেলার রতনপুর এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে কিছুক্ষণ পর পিছন থেকে আসা আরেকটি ট্রাক বিকল ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লাগলে এই দুর্ঘটনা ঘটেl

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মাধবপুরে স্বপ্ন পুরণের আশায় নতুন ঘরে বসতি।

আপডেট টাইম ০৪:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বড়ধলিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে নিরাশ্রয় দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প মির্জাপুর গ্রামের অসহায় ভূমিহীন বাচ্চু মিয়া, সাহারা খাতুন, মতি মিয়া, আব্দুর নূর ও বিল্লাল মিয়ার নিজের কোন জমি ছিলনা ছিলনা নিজের কোন ঘর বাড়ি। কেউ ভাড়াবাড়ি নিয়ে কেউ বা আবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করত। কিন্তু এখন তাদের ৫টি পরিবার বড়ধলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে রঙ্গীন ঘরে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছে। তারা জীবনে কখনও চিন্তা করেনি সরকার তাদের সরকারি জায়গায় আধাপাকা টিনের ঘর তৈরি করে দিবে।

গৃহহীনরা নতুন ঘর পেয়ে তাদের সংসার নতুন ভাবে সাজানো স্বপ্ন দেখছে আশয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা সাহারা খাতুন বলেন, তার স্বামী সামান্য দিনমজুর যা টাকা রোজগার করতেন তা দিয়ে তাদের সংসার চলা কঠিন ছিল। ছোট্র একটি ঝুপড়ি ঘর ভাড়া নিয়ে তারা মির্জাপুর গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতেন। কিন্তু সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করার মত সুন্দর পরিবেশে একটি ঘর দেওয়ায় এই ঘরে তারা এখন বসবাস করছে। এতে তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে অপর বসবাসকারী মতি মিয়া বলেন, তার সংসারে অভাবের অন্ত ছিলনা তাদের সামান্য কোন জমিও নেই কিন্তু সরকার জমিসহ একটি ঘর তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

এখন তারা সরকারি ঘরে বসবাস করে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যুৎ,পানি সরবরাহ, সুন্দর স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে জগদীশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার বড়ধুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে যে ৫টি পরিবার বসবাস করছে, তারা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ছিল এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর পরিবেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করছে। এখন তারা ধীরে ধীরে উন্নয়নের মূল স্রোতে প্রবেশ করবে মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন মৌলিক অধিকার বাসস্থান তাদের পুরণ হয়েছে

তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনতে উদ্যেক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হবে যাতে তারা অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয় মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, বড়ধুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ৫ টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের স্বাবলম্বী করতে আমাদের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে।

মাধবপুরে অবাধে চলছে অটোরিকশা-টমটম, বাড়ছে দুর্ঘটনা।

লিটন পাঠান, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবাধে চলছে অটোরিকশা ও টমটম। দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে ব্যাটারি চালিত এসব যানবাহন। মাধবপুর পৌরশহর সহ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের অলিগলি ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এখন এসব যানবাহনের রাজত্ব। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো চলাচলের ফলে বেড়ে চলছে যানযট। দূরপাল্লার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না, ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অনেক অসুস্থ রোগী অটোরিকশার এলোমেলো চলাফেরা ও যানযটের কারণে জরুরি সেবাগ্রহণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোন যানবাহনে করে হাসপাতালে যেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকেও আদায় করছে বাড়তি ভাড়া। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে চলে। সংখ্যায় বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। যার ফলে সমগ্র উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নোয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আবুল কাশেম বলেন, অটোরিকশা চার্জের ফলে বিদ্যুৎতের লোড বাড়ছে। তবে অটোরিকশা চার্জিং নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি। তবে বর্তমানে কেউ যদি অটোরিকশা চার্জ করতে চায় তাহলে তাকে আলাদাভাবে চার্জিং পাওয়ার স্টেশন করে চার্জ করতে হবে। এলোপাতারি অটোরিকশা চার্জ করা অবৈধ।

অটোরিকশার উপদ্রবের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জাহান রনি বলেন, অটোরিকশার সংখ্যা বেশি হওয়ায় ও তাদের বেপরোয়া চলাচলের জন্য প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাজারের ভেতরে হাটবাজার করার জন্য চলাফেরা করতে কষ্ট হয় আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এইসব অটোরিকশাগুলোকে একটা নিয়মের ভেতরে নিয়ে আসা দরকার, না হলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

মাধবপুর পৌরসভায় অটোরিকশা দ্বারা সৃষ্ট যানযট নিরসনের ব্যাপারে পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, ইতিমধ্যে তাদের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার উদ্দোগ নেয়া হয়েছে।এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়েছে। সকল অটোরিকশা ও টমটমগুলোকে দুইটা আলাদা আলাদা সময়ে চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।ফলে যানযট ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করি। অটোরিকশা চালাতে পরিশ্রম কম হয় বিধায় অনেকেই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে চলে আসছেন এই পেশায়। ফলে দেখা দিচ্ছে কৃষিকাজের শ্রমিক সংকট।

যানযট নিরসন ও যানবাহনের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে মাধবপুর থানার ট্রাফিক জোনের ওসি মো. রমজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা পৌর শহরসহ অন্যান্য জায়গায় অটোরিকশা ও টমটম চলাচল বেড়েছে। আমরা উপজেলার যানযট নিরসনে কাজ করছি।প্রতিদিনই অটোরিকশা মহাসড়কে চলতে নিষেধ করা হচ্ছে এবংঅবৈধভাবে চলাফেরা করায় অটোরিকশা আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মাধবপুরে ট্রাকের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা এক চালক নিহত।

লিটন পাঠান, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রতনপুর নামক স্থানে ট্রাকের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে ফারুক মিয়া (৩৭) নামে এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন শুক্রবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে, ফারুক মিয়া ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার জগাইর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রাকের হেলপার ইমরান মিয়াকে (২২) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার গভীর রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক মাধবপুর উপজেলার রতনপুর এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে কিছুক্ষণ পর পিছন থেকে আসা আরেকটি ট্রাক বিকল ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লাগলে এই দুর্ঘটনা ঘটেl