লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘ দুই বছর পর মহামারি করোনার ভাইসের প্রকোপ কাটিয়ে বাংলা ১৪২৯ বঙ্গাব্দ কে বরন করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয় কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেল আরও একটি বছর। স্বাগতম ১৪২৯ বাংলা ওই যে পূর্ব তোরণ-আগে/দীপ্ত নীলে, শুভ্র রাগে/প্রভাত রবি উঠল জেগে/দিব্য পরশ পেয়ে,/নাই গগনে মেঘের ছায়া/যেন স্বচ্ছ স্বর্গকায়া/ভুবন ভরা মুক্ত মায়া/মুগ্ধ-হৃদয় চেয়ে বাংলার রূপমুগ্ধ কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা নববর্ষকে কবিতার পঙ্ক্তিতে আবাহন করেছিলেন মহামারি করোনার নাগপাশ থেকে অনেকটা মুক্ত হয়ে আজ বাংলার আকাশে উঠেছে নতুন বছরের নতুন সূর্য।
আজ পহেলা বৈশাখ বঙ্গাব্দ ১৪২৯-এর প্রথম দিন আজ বাঙালির একান্ত উৎসবের দিন বাঙালি আজ বিশ্ব বাঙালি হয়ে তাই নব-আনন্দে বরণ করে নেবে নতুন বছরকে পুরোনো জরাজীর্ণকে দূরে ঠেলে আজ স্বপ্ন দেখার দিন নতুন আলোয় অবগাহনের দিন। বাংলার ঘরে ঘরে আজ উৎসবের আমেজ পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব হাজার বছরের ঐতিহ্যের বহমানতায় আজ বাঙালি হারিয়ে যাবে বাঁধাভাঙা উল্লাসে। লাখো মানুষ আজ ঘরের বাইরে ছুটে আসবে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাততে। মহামারি কালের প্রতিবন্ধক তাকে পেছনে ফেলে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরে যাবে বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর।
আজকের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো সব গ্লানিকে মুছে ফেলে সবাই গেয়ে উঠবে নতুন দিনের গান। ১৪২৮-এর আনন্দ-বেদনা হাসি-কান্নার হিসাব চুকিয়ে শুরু হবে নতুন এক পথচলা। জাতিধর্মনির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে নববর্ষ উদযাপনে একসঙ্গে গাইবে এসো হে বৈশাখ এসো এসো বৃহস্পতিবার (১৪-এপ্রিল) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের, নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়
শোভাযাত্রার পরে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী মনু মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাশাপাশি চলতে থাকে বঙ্গবন্ধু ও নববর্ষ কে নিয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা, মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক সুশীল সমাজ রাজনৈতিক দল, এবং মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহনে বছরের প্রথম দিন উদযাপিত করে মাধবপুর পৌর ও উপজেলাবাসী।