ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

মাধবপুরে ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি

মাধবপুরে ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে ২টি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে ৫ মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ প্রতারক চক্রটি কৌশলে ৫টি মিষ্টির দোকান মালিকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফোন দেয়। গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রাজন রায় বলেন, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তার মোবাইল ফোনে ০১৯৩১৪৩৫৬০৮ নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন যে, র‌্যাব, পুলিশ বিজিবি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল ও মোটা অংকে টাকা জরিমানা করা হবে।

এ থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে ৫০ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধ করুন। এভাবে বণিক মিষ্টান্ন ভান্ডার, আদি গোপাল, জয় দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডার সহ বিভিন্ন দোকানে ফোন দেয় প্রতারক চক্র। বার বার টাকার জন্য ফোন দিতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান। মিষ্টি ব্যবসায়ী বণিক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সুজন বণিক জানান, এ ধরনের চাঁদার দাবিতে ফোন পেয়ে ব্যবসায়ীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তার ইউএনও মাধবপুর ভ্যারিফাই ফেসবুক পেইজে একটি ষ্ট্যাটাস দিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমার নজরে এলে বাজারে গিয়ে মিষ্টির দোকান গুলোতে খোঁজ খরব নিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। পরিচয় সনাক্ত হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউএনও কাছ থেকে বিষয়টি জেনে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি

আপডেট টাইম ০৮:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

মাধবপুরে ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয়ে ২টি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে ৫ মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ প্রতারক চক্রটি কৌশলে ৫টি মিষ্টির দোকান মালিকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফোন দেয়। গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রাজন রায় বলেন, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তার মোবাইল ফোনে ০১৯৩১৪৩৫৬০৮ নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন যে, র‌্যাব, পুলিশ বিজিবি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল ও মোটা অংকে টাকা জরিমানা করা হবে।

এ থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে ৫০ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধ করুন। এভাবে বণিক মিষ্টান্ন ভান্ডার, আদি গোপাল, জয় দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডার সহ বিভিন্ন দোকানে ফোন দেয় প্রতারক চক্র। বার বার টাকার জন্য ফোন দিতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান। মিষ্টি ব্যবসায়ী বণিক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সুজন বণিক জানান, এ ধরনের চাঁদার দাবিতে ফোন পেয়ে ব্যবসায়ীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তার ইউএনও মাধবপুর ভ্যারিফাই ফেসবুক পেইজে একটি ষ্ট্যাটাস দিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমার নজরে এলে বাজারে গিয়ে মিষ্টির দোকান গুলোতে খোঁজ খরব নিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। পরিচয় সনাক্ত হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউএনও কাছ থেকে বিষয়টি জেনে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।