ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

মাদারীপুর কালকিনিতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি

মাদারীপুর কালকিনিতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি
   
রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি ।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় অনেকেই লকডাউন মানছেন না। লকডাউনের মধ্যেই অবাধে চলছে মানুষের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করলেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না । এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচনী জনপ্রতিনিধিরাও নেমেছেন মানষদের সচেতন করতে । উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও পৌর মেয়র এস.এম হানিফকে দেখা গেছে মাঠে কাজ করতে। অপরদিকে কালকিনি ও ডাসার থানা পুলিশ দিন-রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর, ফাঁসিয়াতলা, মিয়ারহাটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানপাটের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে চলছে বেচাঁকেনা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, নেই সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই। বাজারে অকারণেই মানুষের ভিড়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসছে কি না তা দেখার জন্য দোকানের সামনে বা গলির মুখে একজনকে দায়িত্বে রাখা হয়। প্রশাসন বা পুলিশের কেউ আসলে সঙ্গে সঙ্গে দোকান বন্ধ করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর প্রশাসন বা পুলিশের লোকজন চলে গেলে আবার দোকানের অর্ধেক অংশ খুলে বেচকেনা শুরু করছে । দোকান খোলা আর বন্ধের এমন অবস্থাকে সাধারন জনগন রসিকতা করে চোর-পুলিশ খেলা বলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, আমি একা দোকানবন্ধ রাখলে কি হবে। অনেকেই দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছে। তাই আমিও খোলা রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
কালকিনি পৌর মেয়র এস.এম হানিফ বলেন, কালকিনিতে আজও ১৭ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমরা হয়তো করোনার হাত থেকে বাঁচতে পারবো।
কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, সরকারের দেয়া লগডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু পুলিশ, প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধি দেখে লুকালেই হবেনা । সকলকে নিজ থেকেই করোনাকে ভয় করে সচেতন হতে হবে। তাহলেই করোনার বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কালকিনি থানার ওসি মোঃ ইসতিয়াক আসফাক রাসেল ও ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।জনগনকে করোনার ভয়াবহতা বোঝাতে এবং অপ্রয়োজনে বাহিরে চলাচল করতে পথে পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে । তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বাহিরে বের হবেন না । উপজেলায় করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি প্রথমেই জনসাধারণের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। এখনো সময় থাকতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে আহবান জানান।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

মাদারীপুর কালকিনিতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি

আপডেট টাইম ০৫:২২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
মাদারীপুর কালকিনিতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি
   
রকিবুজ্জামান,
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি ।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় অনেকেই লকডাউন মানছেন না। লকডাউনের মধ্যেই অবাধে চলছে মানুষের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করলেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না । এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচনী জনপ্রতিনিধিরাও নেমেছেন মানষদের সচেতন করতে । উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও পৌর মেয়র এস.এম হানিফকে দেখা গেছে মাঠে কাজ করতে। অপরদিকে কালকিনি ও ডাসার থানা পুলিশ দিন-রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর, ফাঁসিয়াতলা, মিয়ারহাটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানপাটের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে চলছে বেচাঁকেনা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, নেই সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই। বাজারে অকারণেই মানুষের ভিড়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসছে কি না তা দেখার জন্য দোকানের সামনে বা গলির মুখে একজনকে দায়িত্বে রাখা হয়। প্রশাসন বা পুলিশের কেউ আসলে সঙ্গে সঙ্গে দোকান বন্ধ করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর প্রশাসন বা পুলিশের লোকজন চলে গেলে আবার দোকানের অর্ধেক অংশ খুলে বেচকেনা শুরু করছে । দোকান খোলা আর বন্ধের এমন অবস্থাকে সাধারন জনগন রসিকতা করে চোর-পুলিশ খেলা বলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, আমি একা দোকানবন্ধ রাখলে কি হবে। অনেকেই দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছে। তাই আমিও খোলা রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
কালকিনি পৌর মেয়র এস.এম হানিফ বলেন, কালকিনিতে আজও ১৭ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমরা হয়তো করোনার হাত থেকে বাঁচতে পারবো।
কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, সরকারের দেয়া লগডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু পুলিশ, প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধি দেখে লুকালেই হবেনা । সকলকে নিজ থেকেই করোনাকে ভয় করে সচেতন হতে হবে। তাহলেই করোনার বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কালকিনি থানার ওসি মোঃ ইসতিয়াক আসফাক রাসেল ও ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।জনগনকে করোনার ভয়াবহতা বোঝাতে এবং অপ্রয়োজনে বাহিরে চলাচল করতে পথে পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে । তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বাহিরে বের হবেন না । উপজেলায় করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি প্রথমেই জনসাধারণের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। এখনো সময় থাকতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে আহবান জানান।