রকিবুজ্জামান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে তৃতীয় শ্রেণীর এক নাবালিকা শিক্ষার্থীকে কারখানার ভেতর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দী এলাকায় মিজান সরদারের মালিকানাধীন পোড়া মবিলের কারখানার ভেতর একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় মামলা হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিবচর থেকে কারখানার মালিক মিজান সরদার (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মিজান সরদার মাদবরেরচর এলাকার শিকদারকান্দী গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মবিলের কারখানার পাশেই নানা বাড়ীতে থেকে পোড়াশোনা করত ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কারখানার মালিক মিজান সরদারের লালসার শিকার হন তিনি। মেয়েটি ওই কারখানার শ্রমিক সাজ্জাতের সঙ্গে দেখা করতে কারখানায় গেলে মিজান সরদার সাজ্জাতকে অন্য কাজে পাঠিয়ে দিয়ে মেয়েটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
এদিকে মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে মেয়ের বাবাকেও লাঞ্চিত করেন মিজান। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজান সরদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারসহ একালাবাসী অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করায় কিছু বলতে গেলে উল্টো আমার উপরও ক্ষিপ্ত হয় ধর্ষক মিজান। আমি থানায় মামলা করেছি। ভবিষ্যতে এমন আচারণ করতে কেউ যাতে করতে সাহস না পায়।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মিজান সরদারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তকে অবশ্যই বিচারের আওয়ায় আনা হবে।”