রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসাঃ আসমা বেগম-(২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে কালকিনি থানা পুলিশ। পরকিয়া প্রেম ঘটিত কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ভূক্তভোগী পরিবারের দাবী। এদিকে ওই নিহত গৃহবধুর প্রেমিক নাজমুল-(২৮)কে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার গোপালপুর গ্রামের নাছিম তালুকদারের মেয়ে আসমার সঙ্গে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের মোঃ আমির সরদারের সৌদি প্রবাসী ছেলে মোঃ হালিম সরদারের প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। স্বামী বিদেশ থাকার সুজুগে নিহত ওই গৃহবধুর সাথে খাঞ্জাপুর গ্রামের এসকেন বেপারীর ছেলে মোঃ নাজমুল বেপারীর প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তাদের দু’জনের প্রেমের ঘটনা স্থানীয় লোকজনের মাঝে জানাজানি হয়ে যায়। পরে নিহতের বাবা নাছিম তালুকদার তার মেয়েকে কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুর বাজারের পাসে একটি বাসা ভাড়া করে দেন। দীর্ঘদিন যাবত সেই বাসায় নিহত ওই গৃহবধু তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু সোমবার সকালে ওই গৃহবধুর সাথে ভিডিও কলে কথা হয় তার প্রেমিক নাজমুলের।এক পর্যায়ে আসমা আত্মহত্যা করার কথা বললে নাজমুল তার বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আসমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখর কুমার দেবনাথ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবী আসমার সঙ্গে এসকেন বেপারীর ছেলে মোঃ নাজমুল বেপারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে নাজমুলই হত্যা করেছে। এদিকে এই ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে নিহত ওই গৃহবধুর প্রেমিক নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত গৃহবধুর বাবা নাছিম তালুকদার কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে নাজমুল বেপারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।ও আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমরা তার নামে মামলা করবো।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, নিহত গৃহবধু আসমার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে নিহত ওই গৃহবধুর প্রেমিক নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।