ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের উপর হামলা মামলায় দুই চেয়ারম্যান গ্রেফতার

রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এবং বিস্ফোরক মামলায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী ও একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীকে গ্রেফতার করেছে কালকিনি থানা পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে লক্ষিপুর এলাকা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে বিকালে মাদারীপুর জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার লক্ষিপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সঙ্গে একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীর গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীর নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দুর পক্ষের লক্ষীপুর বাজারের মুরাদ কাজী, বাবু লাল, জাহিদ, আইউব আলী ও বাবুলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীর দোকানপাট কুপিয়ে ভাংচুর চালায় এবং দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় গেন্দু কাজীর লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে।পরে উভয় পক্ষই বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটায়। এতে বাঁধা দিলে খাসের হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনিস ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন আহত হন। এ বোমা বিস্ফোরন ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কালকিনি থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল তাদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্যর উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে এবং বোমা বিস্ফোরন করা হয়েছে। এ হামলা ও বিস্ফোরনের মামলায় ওই দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রেখে পরিস্থিতি শান্ত রাখা হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের উপর হামলা মামলায় দুই চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট টাইম ১০:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এবং বিস্ফোরক মামলায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী ও একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীকে গ্রেফতার করেছে কালকিনি থানা পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে লক্ষিপুর এলাকা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে বিকালে মাদারীপুর জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার লক্ষিপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সঙ্গে একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীর গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীর নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দুর পক্ষের লক্ষীপুর বাজারের মুরাদ কাজী, বাবু লাল, জাহিদ, আইউব আলী ও বাবুলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীর দোকানপাট কুপিয়ে ভাংচুর চালায় এবং দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় গেন্দু কাজীর লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে।পরে উভয় পক্ষই বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটায়। এতে বাঁধা দিলে খাসের হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনিস ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন আহত হন। এ বোমা বিস্ফোরন ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কালকিনি থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল তাদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্যর উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে এবং বোমা বিস্ফোরন করা হয়েছে। এ হামলা ও বিস্ফোরনের মামলায় ওই দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রেখে পরিস্থিতি শান্ত রাখা হয়েছে।