ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

মহেশপুরে মাদকাসক্ত যুবকের হাতে মা ও নানী খুন

জনি হাসান (মহেশপুর) ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার নওদাগ্রামে মানসিক বিকারগ্রস্থ যুবক ইমরানের (২৬) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মা ও নানী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে মর্জিনা খাতুন ও স্ত্রী শামসুন্নাহার (৭০)। বৃহস্পতিবার ভোররাতে যশোর সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান , রাতে ইমরান তার মায়ের কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানীকে কুপিয়ে যখম করে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান , মশেপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মর্জিনা বেগম তার সন্তান ইমরান ও তার মা শামসুন্নাহারকে নিয়ে বসবাস করতেন । ছেলে ইমরান ছিল মানসিক রোগী । বিভিন্ন সময় সে তার মা ও নানীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয় সে বছর সে তার দাদাকে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকে দুই দফা পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাত ২ টার দিকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে। ইমরান ওই সময়েই পালিয়ে যায়। এদিকে এলাকাবাসী বলছে ইমরান নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। ওই রাতেও তার মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানীকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে পালিয়ে যায়। ২৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় ইমরানের বন্ধুর বাড়ী থেকে আসামী ইমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মর্জিনা খাতুনের চাচাতো ভাই কুদরত আলী বাদী হয়ে ইমরানকে আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা পুলিশ আসামী ইমরানকে কোটে পাঠায়, কোট সরাসরি জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

মহেশপুরে মাদকাসক্ত যুবকের হাতে মা ও নানী খুন

আপডেট টাইম ০৪:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

জনি হাসান (মহেশপুর) ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার নওদাগ্রামে মানসিক বিকারগ্রস্থ যুবক ইমরানের (২৬) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মা ও নানী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে মর্জিনা খাতুন ও স্ত্রী শামসুন্নাহার (৭০)। বৃহস্পতিবার ভোররাতে যশোর সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান , রাতে ইমরান তার মায়ের কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানীকে কুপিয়ে যখম করে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান , মশেপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মর্জিনা বেগম তার সন্তান ইমরান ও তার মা শামসুন্নাহারকে নিয়ে বসবাস করতেন । ছেলে ইমরান ছিল মানসিক রোগী । বিভিন্ন সময় সে তার মা ও নানীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয় সে বছর সে তার দাদাকে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকে দুই দফা পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাত ২ টার দিকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে। ইমরান ওই সময়েই পালিয়ে যায়। এদিকে এলাকাবাসী বলছে ইমরান নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। ওই রাতেও তার মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানীকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে পালিয়ে যায়। ২৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় ইমরানের বন্ধুর বাড়ী থেকে আসামী ইমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মর্জিনা খাতুনের চাচাতো ভাই কুদরত আলী বাদী হয়ে ইমরানকে আসামী করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা পুলিশ আসামী ইমরানকে কোটে পাঠায়, কোট সরাসরি জেল হাজতে প্রেরণ করেন।