ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মনের মতো মেরুকরণ পাবে বিএনপি?

বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ‘সব’ রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটি ১৫ দফা দাবির একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। দলটির উদ্দেশ্য, ঐক্যবদ্ধ হতে চায় এমন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের তরফের চাওয়াগুলো স্পষ্ট করা। দলটি বলছে, এর মাধ্যমে তারা রাজনীতিতে মনের মতো মেরুকরণ করতে পারবে।

বিএনপির ১৫ দফার মধ্যে ভোটে যেতে দলটির ছয় দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় ভারসাম্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কথাও বলছে। বিএনপি দাবির খসড়ার শুরুতে লিখছে, ১৫ দফা দাবি তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা এই খসড়া রাজনীতিতে ‘কাঙ্ক্ষিত জাতীয় মেরুকরণ’ করতে পারবে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা। দেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাঁরা মনে করেন, এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের দরকার আছে এবং নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন আছে। তা ছাড়া ভোটের দিন মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেটিও ১৫ দফার মধ্যে আনা হয়েছে। এখন অন্য দলগুলো যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চায়, তাদের দাবিগুলোকে এক করে একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য দাবির খসড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওই দুই সদস্য বলেন, এ মাসের শেষ ভাগে তাঁরা একটি ‘বৃহত্তর ঐক্য’ গঠনের আশা করছেন। এরপর দাবি-দাওয়ার বিষয়টি আসবে। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৫টি দাবি দেওয়া হবে। অন্য পক্ষ থেকেও দাবি আসবে। সব মিলিয়ে একটা কিছু দাঁড় করানো হবে।

বিএনপির ১৫ দফা দাবিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১. বিরোধীদের ওপর জুলুম, হামলা, মামলা, হয়রানি বন্ধ ও বন্দীদের মুক্তি দেওয়া। ২. নিরপেক্ষ সরকার গঠন। ৩. নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি। ৪. ক্ষমতায় গেলে যেসব কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের বাইরে থাকা দলগুলো কিন্তু বলছে যেভাবে দেশ চলছে সেভাবে চলতে পারে না। দলগুলো বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছে, তারা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এ কারণেই বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি রয়েছে। এগুলোকে এক করেই তো ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি মনে করেন, সব দলই কিছু না কিছু ছাড় দিয়ে এক হবে।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ছাড় দিয়ে হলেও তাঁরা বৃহত্তর ঐক্য করতে চান। সম্প্রতি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটও বৃহত্তর ঐক্য গড়তে বিএনপির প্রচেষ্টায় সায় দিয়েছে।২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিক দলগুলো বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সহমত পোষণ করেন। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিক দলগুলো বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সহমত পোষণ করেন। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে

বিএনপির ১৫ দফা দাবি

১.
(ক) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
(খ) সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
(গ) নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও নতুন মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা আদায়।
(ঘ) পুরোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা।
(ঙ) কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের ন্যায্য আন্দোলন এবং সামাজিক ও গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে গ্রেপ্তার ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির নিশ্চয়তা আদায়।
২. ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া।
৩. আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা।
৪. আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা।
৫. নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
৬. ভোটকেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সশস্ত্রবাহিনী নিয়োগ করা।
৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা।
৮. রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসানে ঐকমত্য গঠন করা।
৯. রাষ্ট্রকে দলীয়করণের ধারার বদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা।
১০. রাষ্ট্রক্ষমতায় গ্রহণযোগ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
১১. স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা।
১২. দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার ও কার্যকর।
১৩. নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করা।
১৪. সর্বনিম্ন আয়ের মানুষের মানবিক জীবন নিশ্চিত করে আয়ের বৈষম্যের অবসান করতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ধারণ করা।
১৫. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা।

বিএনপির জাতীয় ঐক্য গঠনে এখন পর্যন্ত যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের সঙ্গে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। এই দলগুলো সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। যুক্তফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, এখন সবাইকে সবার প্রয়োজন। সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করছে বলেই জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি সামনে আসছে। এখানে সব দলের প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মনের মতো মেরুকরণ পাবে বিএনপি?

আপডেট টাইম ১২:০৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ‘সব’ রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটি ১৫ দফা দাবির একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। দলটির উদ্দেশ্য, ঐক্যবদ্ধ হতে চায় এমন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের তরফের চাওয়াগুলো স্পষ্ট করা। দলটি বলছে, এর মাধ্যমে তারা রাজনীতিতে মনের মতো মেরুকরণ করতে পারবে।

বিএনপির ১৫ দফার মধ্যে ভোটে যেতে দলটির ছয় দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় ভারসাম্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কথাও বলছে। বিএনপি দাবির খসড়ার শুরুতে লিখছে, ১৫ দফা দাবি তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা এই খসড়া রাজনীতিতে ‘কাঙ্ক্ষিত জাতীয় মেরুকরণ’ করতে পারবে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, তাঁদের মূল উদ্দেশ্য দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা। দেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাঁরা মনে করেন, এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের দরকার আছে এবং নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন আছে। তা ছাড়া ভোটের দিন মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেটিও ১৫ দফার মধ্যে আনা হয়েছে। এখন অন্য দলগুলো যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চায়, তাদের দাবিগুলোকে এক করে একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য দাবির খসড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওই দুই সদস্য বলেন, এ মাসের শেষ ভাগে তাঁরা একটি ‘বৃহত্তর ঐক্য’ গঠনের আশা করছেন। এরপর দাবি-দাওয়ার বিষয়টি আসবে। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৫টি দাবি দেওয়া হবে। অন্য পক্ষ থেকেও দাবি আসবে। সব মিলিয়ে একটা কিছু দাঁড় করানো হবে।

বিএনপির ১৫ দফা দাবিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১. বিরোধীদের ওপর জুলুম, হামলা, মামলা, হয়রানি বন্ধ ও বন্দীদের মুক্তি দেওয়া। ২. নিরপেক্ষ সরকার গঠন। ৩. নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি। ৪. ক্ষমতায় গেলে যেসব কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের বাইরে থাকা দলগুলো কিন্তু বলছে যেভাবে দেশ চলছে সেভাবে চলতে পারে না। দলগুলো বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছে, তারা এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এ কারণেই বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি রয়েছে। এগুলোকে এক করেই তো ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি মনে করেন, সব দলই কিছু না কিছু ছাড় দিয়ে এক হবে।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ছাড় দিয়ে হলেও তাঁরা বৃহত্তর ঐক্য করতে চান। সম্প্রতি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটও বৃহত্তর ঐক্য গড়তে বিএনপির প্রচেষ্টায় সায় দিয়েছে।২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিক দলগুলো বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সহমত পোষণ করেন। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিক দলগুলো বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সহমত পোষণ করেন। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে

বিএনপির ১৫ দফা দাবি

১.
(ক) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
(খ) সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
(গ) নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও নতুন মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা আদায়।
(ঘ) পুরোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা।
(ঙ) কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের ন্যায্য আন্দোলন এবং সামাজিক ও গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে গ্রেপ্তার ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির নিশ্চয়তা আদায়।
২. ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া।
৩. আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা।
৪. আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা।
৫. নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
৬. ভোটকেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সশস্ত্রবাহিনী নিয়োগ করা।
৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা।
৮. রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসানে ঐকমত্য গঠন করা।
৯. রাষ্ট্রকে দলীয়করণের ধারার বদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা।
১০. রাষ্ট্রক্ষমতায় গ্রহণযোগ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
১১. স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা।
১২. দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার ও কার্যকর।
১৩. নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করা।
১৪. সর্বনিম্ন আয়ের মানুষের মানবিক জীবন নিশ্চিত করে আয়ের বৈষম্যের অবসান করতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ধারণ করা।
১৫. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা।

বিএনপির জাতীয় ঐক্য গঠনে এখন পর্যন্ত যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের সঙ্গে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। এই দলগুলো সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। যুক্তফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, এখন সবাইকে সবার প্রয়োজন। সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করছে বলেই জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি সামনে আসছে। এখানে সব দলের প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।