ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

মধ্যযুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিললো খুলনায়।

সোনিয়া তালুকদার বিভাগীয় প্রধান খুলনা:

মধ্য ও আদি মধ্যযুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে খুলনায়। জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামে এ নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছে খনন কাজ। এরইমধ্যে বেরিয়ে এসেছে চাল, মাটির হাড়ি, কলস, বাটি, থালা, বদনা, কড়াই, প্রদীপ প্রভৃতির বডি, কান্দা, নলসহ বিভিন্ন ভাংগা অংশ।
কপিলমুনির ঢিবি বা শিংয়ের বাগান নামের ওই জায়গায় প্রায় দুইশ’ ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও একশ’ ৮০ মিটার প্রস্থ এলাকায় খনন কাজ চলছে। যা সমতল থেকে প্রায় ৭ ফুট মাটির গভীরে খনন করা হয়েছে। খননের ফলে মূল স্থাপনার একটি বড় অংশ বেরিয়ে এসেছে। বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট ইটের মোটা মোটা দেয়াল।

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে আসা কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খনন কাজের তিন পাশে শৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এক পাশে মাটির উঁচু ঢিবির উপর দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক আফরোজা খান মিতা। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওই স্থাপনার বিষয়ে কথা বলেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

এসময় আফরোজা খান মিতা সকল শিক্ষার্থীকে ‘এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনটি দেখভাল করা এবং এ ধরনের কাজে সরকারকে সহযোগিতা করার’ শপথ পাঠ করান।
দেখা যায়, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটির কোনো কোনো অংশে খুবই সুক্ষ্মভাবে চলছে খনন কাজ। কাজগুলো এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে কোনো নিদর্শনের ক্ষতি না হয়। প্রায় ৩০ জন এ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কপিলমুনি ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজার (যেমন: কপিলমুনি, রেজাকপুর, রামনগর, সিংহজানি ও কাশিমনগর ইত্যাদি) বড় একটি এলাকা জুড়ে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে। আগে এ এলাকাটি কপিলমুনি-আগ্রা নামে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক মানববসতির সম্প্রসারণ ও চাষাবাদের কারণে অনেক প্রত্নস্থান ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বিলুপ্তও হয়ে গেছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে সাতক্ষীরা জেলার তালা হতে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি পর্যন্ত (প্রায় চৌদ্দ মাইল) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ও তৎকালীন আগ্রা গ্রামে একটি ঢিবির কথা পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু বিশেষ করে মৃৎপাত্রের শ্রেণিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও সময়কালের উপর ভিত্তি করে এই প্রত্নস্থানগুলো আদি মধ্য যুগের (আনুমানিক নবম হতে দ্বাদশ শতক) বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায়। এরইমধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে উন্মোচিত স্থাপত্যকাঠামো, প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে এই ঢিবিতে একটি বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামো ও এই বর্গাকার কক্ষটি ঘিরে একটি প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে।
প্রদক্ষিণ পথটি দেয়াল দিয়ে পরিবেষ্টিত ছিল। চলমান খননে এই কাঠামোর কোণগুলোতে কোণিক ভাবে প্রসারিত দেয়াল পাওয়া গেছে। এই দেয়ালগুলোর স্বরূপ ও প্রকৃতি খনন আরও বেশি স্থানজুড়ে প্রসারিত হলে বোঝা যাবে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে বিভিন্ন ধরণের মৃৎপাত্র ও মৃৎপাত্রের টুকরা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রয়েছে, হাড়ি, কলস, বাটি, থালা, বদনা, কড়াই, প্রদীপ প্রভৃতির বডি, কান্দা, নলসহ বিভিন্ন ভাংগা অংশ। এছাড়াও পোড়ামাটির ফলকের ভাংগা অংশ, পোড়ামাটির প্রতিমার ভগ্নাংশ, অলংকৃত ইট, কড়িসহ বিভিন্ন ধরণের প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামোর উত্তর-পশ্চিমকোণে ও উত্তর-পূর্বকোণের প্রদক্ষিণ পথের বাইরের দেওয়ালের সাথের মাটির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় কালো রঙের চালের ডিপোজিট পাওয়া গেছে।

কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা বলেন, ‘বাড়ির পাশেই যে এতো বড় প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে তা কেউ জানতো না। খননের ফলে সেটি জানা গেছে। প্রায় ১২শ’ বছর আগের ওই স্থাপনা আমাদের জন্য গর্বের। স্কুলের মেয়েদের সেগুলো দেখাতে নিয়ে এসেছি। এর ফলে ওই মেয়েরা একদিকে যেমন প্রত্নতত্ত্ব খনন সম্পর্কে জানতে পারবে অন্যদিকে নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা পারবে। পুরোনো স্থাপনা দেখে মেয়েরা খুব খুশি’।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন জানান, এখানে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। এখানে অনেক আগে একবার এসেছিলাম। তখন এখানে বাগান ছিল। এরকম দেখিনি। এখন এসব দেখতে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে। আমাদের এলাকা নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক আফরোজা খান মিতা জানান, প্রাপ্ত স্থাপনা ও প্রত্ন বস্তু থেকে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি, এটি একটি ধর্মীয় উপসানালয়। এটি খ্রি. নবম হতে দ্বাদশ শতকের সময়কালের বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আমাদের এ খনন কাজ ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। চলবে এ মাসের ৩য় সপ্তাহ প্রর্যন্ত। খনন শেষ হলে খননে উন্মোচিত স্থাপত্যটির প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করা সম্ভব হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

মধ্যযুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিললো খুলনায়।

আপডেট টাইম ০৭:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

সোনিয়া তালুকদার বিভাগীয় প্রধান খুলনা:

মধ্য ও আদি মধ্যযুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে খুলনায়। জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামে এ নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলছে খনন কাজ। এরইমধ্যে বেরিয়ে এসেছে চাল, মাটির হাড়ি, কলস, বাটি, থালা, বদনা, কড়াই, প্রদীপ প্রভৃতির বডি, কান্দা, নলসহ বিভিন্ন ভাংগা অংশ।
কপিলমুনির ঢিবি বা শিংয়ের বাগান নামের ওই জায়গায় প্রায় দুইশ’ ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও একশ’ ৮০ মিটার প্রস্থ এলাকায় খনন কাজ চলছে। যা সমতল থেকে প্রায় ৭ ফুট মাটির গভীরে খনন করা হয়েছে। খননের ফলে মূল স্থাপনার একটি বড় অংশ বেরিয়ে এসেছে। বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট ইটের মোটা মোটা দেয়াল।

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে আসা কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খনন কাজের তিন পাশে শৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এক পাশে মাটির উঁচু ঢিবির উপর দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক আফরোজা খান মিতা। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওই স্থাপনার বিষয়ে কথা বলেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

এসময় আফরোজা খান মিতা সকল শিক্ষার্থীকে ‘এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনটি দেখভাল করা এবং এ ধরনের কাজে সরকারকে সহযোগিতা করার’ শপথ পাঠ করান।
দেখা যায়, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটির কোনো কোনো অংশে খুবই সুক্ষ্মভাবে চলছে খনন কাজ। কাজগুলো এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে কোনো নিদর্শনের ক্ষতি না হয়। প্রায় ৩০ জন এ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কপিলমুনি ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজার (যেমন: কপিলমুনি, রেজাকপুর, রামনগর, সিংহজানি ও কাশিমনগর ইত্যাদি) বড় একটি এলাকা জুড়ে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে। আগে এ এলাকাটি কপিলমুনি-আগ্রা নামে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক মানববসতির সম্প্রসারণ ও চাষাবাদের কারণে অনেক প্রত্নস্থান ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বিলুপ্তও হয়ে গেছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে সাতক্ষীরা জেলার তালা হতে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালি পর্যন্ত (প্রায় চৌদ্দ মাইল) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ও তৎকালীন আগ্রা গ্রামে একটি ঢিবির কথা পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু বিশেষ করে মৃৎপাত্রের শ্রেণিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও সময়কালের উপর ভিত্তি করে এই প্রত্নস্থানগুলো আদি মধ্য যুগের (আনুমানিক নবম হতে দ্বাদশ শতক) বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায়। এরইমধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে উন্মোচিত স্থাপত্যকাঠামো, প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে এই ঢিবিতে একটি বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামো ও এই বর্গাকার কক্ষটি ঘিরে একটি প্রদক্ষিণ পথ রয়েছে।
প্রদক্ষিণ পথটি দেয়াল দিয়ে পরিবেষ্টিত ছিল। চলমান খননে এই কাঠামোর কোণগুলোতে কোণিক ভাবে প্রসারিত দেয়াল পাওয়া গেছে। এই দেয়ালগুলোর স্বরূপ ও প্রকৃতি খনন আরও বেশি স্থানজুড়ে প্রসারিত হলে বোঝা যাবে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে বিভিন্ন ধরণের মৃৎপাত্র ও মৃৎপাত্রের টুকরা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রয়েছে, হাড়ি, কলস, বাটি, থালা, বদনা, কড়াই, প্রদীপ প্রভৃতির বডি, কান্দা, নলসহ বিভিন্ন ভাংগা অংশ। এছাড়াও পোড়ামাটির ফলকের ভাংগা অংশ, পোড়ামাটির প্রতিমার ভগ্নাংশ, অলংকৃত ইট, কড়িসহ বিভিন্ন ধরণের প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। বর্গাকার স্থাপত্যকাঠামোর উত্তর-পশ্চিমকোণে ও উত্তর-পূর্বকোণের প্রদক্ষিণ পথের বাইরের দেওয়ালের সাথের মাটির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় কালো রঙের চালের ডিপোজিট পাওয়া গেছে।

কপিলমুনি মেহেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা বলেন, ‘বাড়ির পাশেই যে এতো বড় প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে তা কেউ জানতো না। খননের ফলে সেটি জানা গেছে। প্রায় ১২শ’ বছর আগের ওই স্থাপনা আমাদের জন্য গর্বের। স্কুলের মেয়েদের সেগুলো দেখাতে নিয়ে এসেছি। এর ফলে ওই মেয়েরা একদিকে যেমন প্রত্নতত্ত্ব খনন সম্পর্কে জানতে পারবে অন্যদিকে নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা পারবে। পুরোনো স্থাপনা দেখে মেয়েরা খুব খুশি’।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন জানান, এখানে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। এখানে অনেক আগে একবার এসেছিলাম। তখন এখানে বাগান ছিল। এরকম দেখিনি। এখন এসব দেখতে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে। আমাদের এলাকা নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক আফরোজা খান মিতা জানান, প্রাপ্ত স্থাপনা ও প্রত্ন বস্তু থেকে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি, এটি একটি ধর্মীয় উপসানালয়। এটি খ্রি. নবম হতে দ্বাদশ শতকের সময়কালের বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আমাদের এ খনন কাজ ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। চলবে এ মাসের ৩য় সপ্তাহ প্রর্যন্ত। খনন শেষ হলে খননে উন্মোচিত স্থাপত্যটির প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করা সম্ভব হবে।