জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনে আনুফা আক্তার (৪৫)নামের এক মামলার বাদীকে রাতের আধারে ঘুম করার চেষ্টায় করে ,মোয়াটি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়া ওরফে মেগু মিয়ার
ছেলে উমির(৩০) সাফায়েত(৪৫) নিজাম (৪০)উজ্জল( ৩৩) এর বিরুদ্ধে এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ রোজ শনিবার বাড়ীর সীমানায় গাছ কাটা নিষেধ করার কারণে আনুফা আক্তার সহ তার ছেলে সায়ীম (১৭)কে মারধর করে গুরুতর আহত করে,মোয়াটি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়া ওরফে মেগু মিয়ার
ছেলে উমির, সাফায়েত, নিজাম ,উজ্জল,জুয়েল।
স্বজনেরা আহতদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভর্তি রেখে দীর্ঘদিন চিকিৎসা থাকার পর ,সুস্থ হয়ে পরবর্তীতে ৫ এপ্রিল আনুফা আক্তার বাদী হয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, বর্তমানে মামলাটির তদন্ত দিন রয়েছে।
উক্ত মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য ,বিবাদী সাখাওয়াত হোসেন, বাদী আনুফা আক্তার হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত ১১ এপ্রিল রোজ সোমবার আনুমানিক সময় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বাহিরে আসলে আনুফা আক্তারকে , বিবাদী উৎপেতে থাকা মৃত ফজলু মিয়া ওরফে মেগু মিয়ার
ছেলে উমির সাফায়েত, নিজাম, উজ্জল, আনুফা আক্তারকে মুখে গামছা পেঁচিয়ে অটোরিকশা উঠিয়ে নেয় , খুন করে ঘুম করার উদ্দেশ্য । পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন বেরিয়ে আসলে অজ্ঞান অবস্থায় পায় আনুফা আক্তার কে, এলাকার লোকজন পানি ঢাললে জ্ঞান ফিরে আসে।
এ ঘটনা বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, লোকজনের ডাক , চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি আনুফা আক্তার অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে, পরে পানি ঢেলে চেতন করেছি তাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত সাফায়াত হোসেন বলেন, মিথ্যা একটি নাটক সাজিয়েছে আমাদেরকে হয়রানির করার জন্য ,সে পূর্বেও এধরনের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ,মদন থানা ওসি মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি ,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।