মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ-
আজ ২৯ নভেম্বর চাঁদপুরের গজারিয়া -মতলব সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের লক্ষে
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল আমিন রুহুল,
সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা মতলব- গজারিয়া সেতু নির্মাণস্থল স্থান পরিদর্শনে আসবেন ৷
চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড.নুরুল অমিন রুহুল বিষয়টি নিচ্ছিত করেছেন ৷
দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবী ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি মতলব-গজারিয়ার সংযোগ সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অথিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম বলেন, মতলব- গজারিয়া সেতু হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তারের ঝুলন্ত একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু এবং দ্রুত এই সেতু বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলেও প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম মতলব বাসীকে আশ্বাস প্রধান করেন ৷
জানা যায় – চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ৫০ বছরের দাবি ছিল মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণের। অবশেষে এসব অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বেলতলী অংশবিশেষ ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অংশবিশেষ নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে তারের ঝুলন্ত দৃষ্টিনন্দন এই সেতু ৷
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড. নুরুল আমিন রুহুল ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি নির্মানে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর তারিখে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় ১৪৮০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয় সেতু মন্ত্রণালয়ে।
সংশ্লিষ্ট এলজিইডি মন্ত্রণালয় সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা, সেতুর ডিজাইন, পরিবীক্ষণ, তদারকি উপদেষ্টা ফার্মের প্রার্থমিক কাজ শেষ করেছে ।
এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সেতু মন্ত্রণলয়ের মাধ্যমে পুনরায় ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং শুক্রবার থেকে মতলব-গজারিয়ার ভবেরচর প্রান্তে সেতুর সয়েল টেস্টের কাজ শুরুর একসপ্তাহের মধ্যে শেষকরা হয় সয়েল টেস্টের কাজ ৷
ঢাকা থেকে গৌরীপুর ও মতলব উত্তর উপজেলা সদরে চাঁদপুর জেলা সদরে বর্তমান দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। কিন্তু ঢাকা থেকে ভবেরচর হয়ে গজারিয়া উপজেলার সীমানার উপর দিয়ে প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণ হলে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৬৮ কিলোমিটার হবে । এই সেতু নির্মিত হলে ঢাকা-চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার সড়ক পথ কমে যাবে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের ভ্রমণ ব্যয় কমবে একই সাথে সময়ও কমবে প্রায় এক ঘন্টা।
বর্তমানে ঢাকা থেকে চাঁদপুর জেলা সদরের যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় প্রয়োজন হয় সেতু নির্মিত হলে এ সময় ২ ঘন্টা নেমে আসবে। ফলে চাঁদপুরগামী মানুষ’সহ মালামাল পরিবহনের প্রচুর অর্থের সাশ্রয় হবে। সেতুটি নির্মিত হলে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, শরীয়তপুর এবং চট্টগ্রামসহ অন্য জেলার সাথে যাতায়াতের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এই সেতু নির্মাণ হলে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর’সহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।
এদিকে এখলাছপুর,মোহনপুর,ষাটনল,সাদুল্লাপুর,বাগানবাড়ী,ছেংগারচর পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের নেতা- কর্মিসহ হাজার হাজার লোক জনসভা স্থলে যোগদিয়ে তাদের বহুদিনের কান্খিত স্বপ্নপূরনে মতলব-গজারিয়া সেতু দ্রুত বাস্তবায়নে মন্ত্রী, এমপিসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানাবেন বলে দলের নেতা- কর্মিরা জানিয়েছেন ৷