ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

মতলব উত্তরে বেড়া ও খুঁটি ভেঙে বোনের সম্পত্তি দখলের পায়তারা

আমিনুল ইসলাম আল আমিন:-

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বড় মরাদোন গ্রামে জায়গার বেড়া ভেঙে বোনের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভাইদের বিরুদ্ধে। রোববার দিনগত গভীর রাতে কাটা তারের বেড়া ও খুঁটি ভেঙে ফেলে তার ভাই মিজানুর রহমান স্বপন গংরা। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বোন মিরা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা তফাজ্জল হোসেনের মেয়ে হিসেবে আমি মিরা আক্তার ওয়ারিশ সুত্রে ব্যাসদী মৌজার ১৩০৪৮ ও ১৩০৪৩ দাগে ১১০ শতক জমির সম্পত্তির মালিক হয়ে আমার ছেলে এবং মেয়েকে হেবানামা দলিল মুলে লিখে দেই। কিন্তু আমার ভাই মিজানুর রহমান স্বপন এবং অঞ্জু বেগম, অহিন মিয়া, নান্নু সরকার ও পারভীন বেগম আমাদের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে আসছে। এই বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি, মামলা চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বপরিবারে ঢাকায় থাকি এই সুযোগে মিজানুর রহমানসহ তারা রাতের আধারে কাটা তারের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে ওই জায়গা দখলের চেস্টা করে। এমতাবস্থায় খবর পেয়ে আমি এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি অবগত করেছি।
বাদী মিরা আক্তারের স্বামী আঃ কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর ওয়ারিশান সম্পত্তি সঠিকভাবে পুরোপুরি বুজিয়ে দেয়নি। তারা অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে। কিছু বললে উল্টা আমাদেরকে হুমকি ধামকি দেয়। আমার স্ত্রী সন্তানদের জায়গা লিখে দেওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে শত্রুতা করে আসছে। এবং অনৈতিকভাবে জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিকে মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের জায়গা সম্পত্তি এখনো ভাগ হয়নি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, উক্ত জায়গা নিয়ে মামলা চলছে। এছাড়াও একটি অভিযোগ প্রসিকিউশন দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে কোর্টের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

মতলব উত্তরে বেড়া ও খুঁটি ভেঙে বোনের সম্পত্তি দখলের পায়তারা

আপডেট টাইম ০৯:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

আমিনুল ইসলাম আল আমিন:-

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বড় মরাদোন গ্রামে জায়গার বেড়া ভেঙে বোনের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভাইদের বিরুদ্ধে। রোববার দিনগত গভীর রাতে কাটা তারের বেড়া ও খুঁটি ভেঙে ফেলে তার ভাই মিজানুর রহমান স্বপন গংরা। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বোন মিরা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা তফাজ্জল হোসেনের মেয়ে হিসেবে আমি মিরা আক্তার ওয়ারিশ সুত্রে ব্যাসদী মৌজার ১৩০৪৮ ও ১৩০৪৩ দাগে ১১০ শতক জমির সম্পত্তির মালিক হয়ে আমার ছেলে এবং মেয়েকে হেবানামা দলিল মুলে লিখে দেই। কিন্তু আমার ভাই মিজানুর রহমান স্বপন এবং অঞ্জু বেগম, অহিন মিয়া, নান্নু সরকার ও পারভীন বেগম আমাদের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে আসছে। এই বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি, মামলা চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বপরিবারে ঢাকায় থাকি এই সুযোগে মিজানুর রহমানসহ তারা রাতের আধারে কাটা তারের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে ওই জায়গা দখলের চেস্টা করে। এমতাবস্থায় খবর পেয়ে আমি এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি অবগত করেছি।
বাদী মিরা আক্তারের স্বামী আঃ কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর ওয়ারিশান সম্পত্তি সঠিকভাবে পুরোপুরি বুজিয়ে দেয়নি। তারা অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে। কিছু বললে উল্টা আমাদেরকে হুমকি ধামকি দেয়। আমার স্ত্রী সন্তানদের জায়গা লিখে দেওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে শত্রুতা করে আসছে। এবং অনৈতিকভাবে জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিকে মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের জায়গা সম্পত্তি এখনো ভাগ হয়নি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, উক্ত জায়গা নিয়ে মামলা চলছে। এছাড়াও একটি অভিযোগ প্রসিকিউশন দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে কোর্টের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।