ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে কারাদণ্ড … নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন: প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা প্রচণ্ড দাবদাহে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের স্বস্তির উদ্যোগ।

মতলব উত্তরে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ছোট ভাইকে বঞ্চিত করার অভিযোগ

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে মৃত ছৈয়দ হোসেন মোল্লার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার আপন ছোট ভাইকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ছোট ভাই তার সম্পত্তি বুজিয়ে দিতে বললে তাকে মারধর ও হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ নিয়ে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সম্পত্তি বঞ্চিত মোঃ ফারুক মোল্লার পরিবারে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সরেজমিনে জানা যায়, গাজীপুর মৌজায় ১৮৪১, ১৯৬১, ১৯৮৯, ১৯৯৯, ২০০০, ২০০১, ২০০২, ২০০৪, ২১৪১ দাগে মরহুম ছৈয়দ হোসেন মোল্লা ১ একর ১৭ শতাংশ ভূমির মালিক। তার ২ ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ ফারুক মোল্লা, তিন মেয়ে মিনারা বেগম, রেখা বেগম, সাজেদা বেগম এই ৫ সন্তান ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ। কিন্তু ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার অন্যান্য ভাই বোনদের সম্পত্তি না দিয়ে নিজেই সব ভোগদখল করছেন। সম্পত্তির ধারে কাছে গেলে মামলা হামলা দিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় এবং প্রতিনিয়ত ছোট ভাই ফারুককের পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। বিষয়টি এলাকায় একাধিক বার শালীশ বৈঠক বসলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার ভাই বোনদের সম্পত্তি বুজিয়ে দিবেন বলে কথা দিলেও পরবর্তীতে আর তাদের সম্পত্তির ধারে কাছে যেতে দেয় না।
মোঃ ফারুক মোল্লা বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ প্রবাসে থাকি। এই সুযোগে আমার ভাই শফিকুল ইসলাম মোল্লা আমার সকল সম্পত্তি দখল করে আছে। সম্পত্তির হিসাব বুজিয়ে দিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রী ও পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শফিকুল ইসলাম মোল্লা আমার বাবার নামে প্রতারণা করে অসিয়তনামার মাধ্যমে তার নামে ২২ শতক সম্পত্তির দলিল করেছে। ওই সম্পত্তি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিছে ও খারিজ করেছে। খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন করেছি। এরমধ্যে আমার উপর মারধর করে উল্টা থানায় গিয়ে মিথা অভিযোগ দিয়েছে।
ফারুক মোল্লার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমার সন্তান নিয়ে অনেক কস্টে থাকি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। শুধু ঘরের জায়গা টুকুতে দিনাতিপাত করছি। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ও একাধিক বার ভাসুর হয়ে আমাকে মারধর করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফারুক মোল্লার চাচা মনির মোল্লা বলেন, তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ সমাধানের জন্য একাধিক বার শালীশ বৈঠক করেছি। শফিকুল ইসলাম আমার গায়েও হাত তুলেছে। তার আচরণ খুবই খারাপ।
গাজীপুর গ্রামের আওলাদ হোসেন মোল্লা, আল-আমিন সহ আরো কয়েকজন বলেন, শফিকুল ইসলাম একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। তিনি বিভিন্ন পায়তারা করে ভাই বোনদের সম্পত্তি জবরদখল করেছে। যা আমাদের সমাজ ও গ্রামের কুলসিত করেছে।
জাতীয় সাপ্তাহিক দূর্নীতি রিপোর্ট পত্রিকার সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার এসএম আল-আমিন বলেন, গাজীপুরে আমার বাড়ি। তাদের একটি পারিবারিক কলোহের জেড়ে আমাকে শফিক মোল্লার বেয়াই নাছির ওই বাড়িতে ডেকে নেয়। আমি একজন সাংবাদিক তাদের আত্মীয়ের ডাকে গিয়েছি, যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে গালমন্দ ও উশৃংখল আচরণ করেছে শফিকুল ও তার স্ত্রী সন্তান। তারা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। এখন আবার তার ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
এদিকে শফিকুল ইসলাম মোল্লাকে বাড়িতে খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায় নি। তবে তার স্ত্রী জানান, শফিকুল ইসলাম মোল্লার পিতা তাকে ওসিয়ত করে ২২ শতক সম্পত্তি দিয়ে গেছেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ।

মতলব উত্তরে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ছোট ভাইকে বঞ্চিত করার অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৯:১৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে মৃত ছৈয়দ হোসেন মোল্লার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার আপন ছোট ভাইকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ছোট ভাই তার সম্পত্তি বুজিয়ে দিতে বললে তাকে মারধর ও হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ নিয়ে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সম্পত্তি বঞ্চিত মোঃ ফারুক মোল্লার পরিবারে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সরেজমিনে জানা যায়, গাজীপুর মৌজায় ১৮৪১, ১৯৬১, ১৯৮৯, ১৯৯৯, ২০০০, ২০০১, ২০০২, ২০০৪, ২১৪১ দাগে মরহুম ছৈয়দ হোসেন মোল্লা ১ একর ১৭ শতাংশ ভূমির মালিক। তার ২ ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ ফারুক মোল্লা, তিন মেয়ে মিনারা বেগম, রেখা বেগম, সাজেদা বেগম এই ৫ সন্তান ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ। কিন্তু ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার অন্যান্য ভাই বোনদের সম্পত্তি না দিয়ে নিজেই সব ভোগদখল করছেন। সম্পত্তির ধারে কাছে গেলে মামলা হামলা দিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় এবং প্রতিনিয়ত ছোট ভাই ফারুককের পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। বিষয়টি এলাকায় একাধিক বার শালীশ বৈঠক বসলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা তার ভাই বোনদের সম্পত্তি বুজিয়ে দিবেন বলে কথা দিলেও পরবর্তীতে আর তাদের সম্পত্তির ধারে কাছে যেতে দেয় না।
মোঃ ফারুক মোল্লা বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ প্রবাসে থাকি। এই সুযোগে আমার ভাই শফিকুল ইসলাম মোল্লা আমার সকল সম্পত্তি দখল করে আছে। সম্পত্তির হিসাব বুজিয়ে দিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রী ও পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শফিকুল ইসলাম মোল্লা আমার বাবার নামে প্রতারণা করে অসিয়তনামার মাধ্যমে তার নামে ২২ শতক সম্পত্তির দলিল করেছে। ওই সম্পত্তি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিছে ও খারিজ করেছে। খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন করেছি। এরমধ্যে আমার উপর মারধর করে উল্টা থানায় গিয়ে মিথা অভিযোগ দিয়েছে।
ফারুক মোল্লার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমার সন্তান নিয়ে অনেক কস্টে থাকি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। শুধু ঘরের জায়গা টুকুতে দিনাতিপাত করছি। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ও একাধিক বার ভাসুর হয়ে আমাকে মারধর করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফারুক মোল্লার চাচা মনির মোল্লা বলেন, তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ সমাধানের জন্য একাধিক বার শালীশ বৈঠক করেছি। শফিকুল ইসলাম আমার গায়েও হাত তুলেছে। তার আচরণ খুবই খারাপ।
গাজীপুর গ্রামের আওলাদ হোসেন মোল্লা, আল-আমিন সহ আরো কয়েকজন বলেন, শফিকুল ইসলাম একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। তিনি বিভিন্ন পায়তারা করে ভাই বোনদের সম্পত্তি জবরদখল করেছে। যা আমাদের সমাজ ও গ্রামের কুলসিত করেছে।
জাতীয় সাপ্তাহিক দূর্নীতি রিপোর্ট পত্রিকার সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার এসএম আল-আমিন বলেন, গাজীপুরে আমার বাড়ি। তাদের একটি পারিবারিক কলোহের জেড়ে আমাকে শফিক মোল্লার বেয়াই নাছির ওই বাড়িতে ডেকে নেয়। আমি একজন সাংবাদিক তাদের আত্মীয়ের ডাকে গিয়েছি, যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে গালমন্দ ও উশৃংখল আচরণ করেছে শফিকুল ও তার স্ত্রী সন্তান। তারা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। এখন আবার তার ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
এদিকে শফিকুল ইসলাম মোল্লাকে বাড়িতে খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায় নি। তবে তার স্ত্রী জানান, শফিকুল ইসলাম মোল্লার পিতা তাকে ওসিয়ত করে ২২ শতক সম্পত্তি দিয়ে গেছেন।