মতলব উত্তরে নদী ভাংগন পরিদর্শন করলেন নুরুল আমিন রুহুল এমপি
আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাংগন। বিশেষ করে বর্ষাকাল ঘিরে চরাঞ্চলগুলো মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জহিরাবাদ, এখলাছপুর, মোহনপুর, দশানী, সটাকি, ষাটনল, আমিরাবাদ সহ বেশ কয়েকদিন স্থান।
শুক্রবার সকালে জহিরাবাদ লঞ্চঘাট ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল। পরে নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এসময় এমপি নুরুল আমিন রুহুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতলবের বেরী বাঁধ রক্ষায় অনেক বরাদ্দ দিয়েছেন। আরও বরাদ্দ প্রসেসিংয়ে আছে। আজকে জহিরাবাদে যে নদী ভাংগন দেখলাম এখানে বরাদ্দ আনতে আমি চেস্টা করব। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলব। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। তেমনি আর কোন এলাকাও নদী ভাংগন ঝুঁকিতে থাকবে না। বিশেষ করে মতলবের যেসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো রয়েছে দ্রুত করে ওইসব জায়গাগুলো আগে মেরামত করা হবে। চরাঞ্চলেও ভাংগনের খবর পেয়েছি। এসব ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে নদী ভাংগন আতংক থেকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর জেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাড. খালেদ মোশারফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা আঃ শুক্কুর মৃধা, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন কবিরাজ, জহিরাবাদ ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মল্লিক, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন ডাক্তার, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন ডালিম প্রমুখ। এসময় স্থানীয় নদী ভাংগন এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বর্ষা এলে এই এলাকা দিয়ে নদী ভাংগন শুরু হয়। বাড়ি ঘর সহ অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে গেছে বিগত বছরে। এখনো কয়েকট গ্রাম, একটি হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুল সহ অনেক প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। এই নদী ভাংগন দ্রুত মেরামত করতে সরকারের প্রতি দাবী জানান এলাকাবাসী।