ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বশর ভূঁইয়া পরিষদের ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখ’কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে কৃষকলীগের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আমিনুল ইসলাম আল আমিনঃ
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ২১ আগষ্ট জঙ্গিবাদী গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ শহীদ ২৪ নেতাকর্মী স্মরণে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগ লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের হামলাকারীরা এক ও অভিন্ন শক্তি। তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদের মূল লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা হত্যা,গণতন্ত্র হত্যা করা। ১৭ বছর অতিবাহিত হলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ স্মৃতি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভয়াল সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন পাঁচ শতাধিকেরও বেশি লোকজন। আহতদের অনেকেই এখনো তাদের শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার আর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।এই হামলার পেছনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।তার হাওয়া ভবন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সৌভাগ্যবশতঃ সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আমরা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত সব খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি করছি।

২১ আগস্ট শনিবার সকালে এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এখলাছপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় আরও বত্তব্য রাখেন,
উপজেলা কৃষকলীগের সহ প্রচার সম্পাদক মাইনুদ্দিন, সদস্য মোজাম্মেল হক, ফতেপুর পচ্শিম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ইলিয়াছ মিয়াজি,এখলাছপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. বাদশাহ, সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ মাস্টার,এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোরতুজা মেম্বার, কাউছার মাস্টার,এখলাছপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল প্রধান,এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোরতুজা মেম্বার, কাউছার মাস্টার,
এখলাছপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ৷
আলোচনা সভা শেষে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ শহীদ ২৪ নেতাকর্মীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

———————
মতলব উত্তরে আজও কান্না থামেনি গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের পরিবারের

আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের আতিকুর রহমান। চার সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫)। বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২৫) এইচএসসি পাসের পর ৪ বছর আগে বিয়ে হয়ে যায়। বড় ছেলে মিথুন (২২) সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পাশের পর প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালাচ্ছে। মেজ ছেলে মিন্টু (২০) অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ছোট ছেলে শাকিব (১৭) স্থানীয় একটি কলেজে লেখাপড়া করছে।

নিহত আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, ২১ আগস্ট আসলেই সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নেন। এছাড়া আর কেউ এই পরিবারের খোঁজ-খবর নেন না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। আর যেন কোন স্ত্রী তার স্বামীকে অল্প বয়সে হারাতে না হয়।

আতিকুর রহমানের বড় ছেলে মিথন বলে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ১ লাখ, তারপর সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ, এফডিআর-এর জন্য ২০ লাখ এবং নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কোনো সাহায্য আমরা পাইনি। আমাদের একটি চাকরির প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমরা সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।

আতিকের মা খোরশিদা বেগম জানান, ১৭ বছর যাবত ছেলের জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছে। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাই।

২০ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা উত্তর পাচানী জামি’আ আরাবিয়া কাসেমুল উলূম মাদ্রাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে
বিশিষ্ট শিল্পপতি,সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগ নেত কাজী মিজানুর রহমানের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় মরহুম আতিকুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।

———–
মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের স্মরণে যুবলীগের দোয়া ও আলোচনা সভা

মো.তুহিন ফয়েজ: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশিস্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক,আওয়ামীলীগ নেতা ও মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যােগে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

২০ আগষ্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার উত্তর পাচানী জামি’আ আরাবিয়া কাসেমুল উলূম মাদ্রাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, আওয়ামীলীগ নেতা খালেক প্রধান,বোরহান সরকার, সপন মুন্সি,মোহনপুর ইউপি শ্রমিকলীগের সভাপতি হেলাল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সরকার, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশং এর সভাপতি ছানা উল্লাহসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শহীদ আতিকের পরিবারবর্গ ৷

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ১৭ বছর আগে এই দিনে গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন।

২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

আলোচনা শেষে মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুর রহমান ৷

উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।
আজও কান্না থামেনি গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদ আতিকের পরিবার বর্গের ৷

” মতলব উত্তরে গ্রেনেড হালমলা নিহত আতিকের পরিবারবর্গ। এর ছবি??( ১ )

(২)
মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে কৃষকলীগের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত (২ )

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে কৃষকলীগের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ০৮:০০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

আমিনুল ইসলাম আল আমিনঃ
জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ২১ আগষ্ট জঙ্গিবাদী গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ শহীদ ২৪ নেতাকর্মী স্মরণে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগ লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের হামলাকারীরা এক ও অভিন্ন শক্তি। তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদের মূল লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা হত্যা,গণতন্ত্র হত্যা করা। ১৭ বছর অতিবাহিত হলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ স্মৃতি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভয়াল সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন পাঁচ শতাধিকেরও বেশি লোকজন। আহতদের অনেকেই এখনো তাদের শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার আর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।এই হামলার পেছনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।তার হাওয়া ভবন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সৌভাগ্যবশতঃ সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আমরা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত সব খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি করছি।

২১ আগস্ট শনিবার সকালে এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এখলাছপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় আরও বত্তব্য রাখেন,
উপজেলা কৃষকলীগের সহ প্রচার সম্পাদক মাইনুদ্দিন, সদস্য মোজাম্মেল হক, ফতেপুর পচ্শিম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ইলিয়াছ মিয়াজি,এখলাছপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. বাদশাহ, সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ মাস্টার,এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোরতুজা মেম্বার, কাউছার মাস্টার,এখলাছপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল প্রধান,এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোরতুজা মেম্বার, কাউছার মাস্টার,
এখলাছপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ৷
আলোচনা সভা শেষে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ শহীদ ২৪ নেতাকর্মীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

———————
মতলব উত্তরে আজও কান্না থামেনি গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের পরিবারের

আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের আতিকুর রহমান। চার সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫)। বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২৫) এইচএসসি পাসের পর ৪ বছর আগে বিয়ে হয়ে যায়। বড় ছেলে মিথুন (২২) সরকারি তোলারাম কলেজে এইচএসসি পাশের পর প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালাচ্ছে। মেজ ছেলে মিন্টু (২০) অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ছোট ছেলে শাকিব (১৭) স্থানীয় একটি কলেজে লেখাপড়া করছে।

নিহত আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, ২১ আগস্ট আসলেই সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নেন। এছাড়া আর কেউ এই পরিবারের খোঁজ-খবর নেন না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। আর যেন কোন স্ত্রী তার স্বামীকে অল্প বয়সে হারাতে না হয়।

আতিকুর রহমানের বড় ছেলে মিথন বলে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ১ লাখ, তারপর সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ, এফডিআর-এর জন্য ২০ লাখ এবং নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কোনো সাহায্য আমরা পাইনি। আমাদের একটি চাকরির প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমরা সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।

আতিকের মা খোরশিদা বেগম জানান, ১৭ বছর যাবত ছেলের জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছে। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাই।

২০ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা উত্তর পাচানী জামি’আ আরাবিয়া কাসেমুল উলূম মাদ্রাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে
বিশিষ্ট শিল্পপতি,সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগ নেত কাজী মিজানুর রহমানের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় মরহুম আতিকুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।

———–
মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের স্মরণে যুবলীগের দোয়া ও আলোচনা সভা

মো.তুহিন ফয়েজ: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশিস্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক,আওয়ামীলীগ নেতা ও মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যােগে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

২০ আগষ্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার উত্তর পাচানী জামি’আ আরাবিয়া কাসেমুল উলূম মাদ্রাসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন তপদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, আওয়ামীলীগ নেতা খালেক প্রধান,বোরহান সরকার, সপন মুন্সি,মোহনপুর ইউপি শ্রমিকলীগের সভাপতি হেলাল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সরকার, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশং এর সভাপতি ছানা উল্লাহসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শহীদ আতিকের পরিবারবর্গ ৷

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ১৭ বছর আগে এই দিনে গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন।

২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

আলোচনা শেষে মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুর রহমান ৷

উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।
আজও কান্না থামেনি গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদ আতিকের পরিবার বর্গের ৷

” মতলব উত্তরে গ্রেনেড হালমলা নিহত আতিকের পরিবারবর্গ। এর ছবি??( ১ )

(২)
মতলব উত্তরে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে কৃষকলীগের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত (২ )