ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

মতলবে বাইশপুর সপ্রাবি মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল,ও গর্ত।

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন: নিন্মমানের সামগ্রী আর সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাবে ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল ও গর্ত। সে সাথে ঝড়ে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তার। এতে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, মতলব পৌরসভার ১৮৪ নং দক্ষিণ বাইশপুর মালেক দেওয়ান- মনিরুজ্জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১১-১২ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কাজটি করেন মেসার্স নুরুল ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাঁচতলা ভীত বিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রথম তলা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে চলছে পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫শত বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের দেয়াল, মেঝে ও ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া একটি কক্ষের মাঝে বড় আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেড়া দিয়ে এক পাশে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এছাড়া অফিস ও অন্য দুই কক্ষের মেঝে ফাটল রয়েছে। এতে অভিভাবকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। যে কোনো সময় ওই শ্রেণি কক্ষের মতই গর্ত সৃষ্টি হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও দাতা সদস্য মহসিন দেওয়ান বলেন, ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নজির বিহীন। এখনই সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়টি লিখিত আকারে ছবিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এসএমস্#ি৩৯;র সভাপতি আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান (ভুলু হাজী) ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এই বিদ্যালয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে। যার ফলে সাত বছর না যেতেই মেঝে ও দেয়াল খসে পড়ছে আস্তর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এই মুহূর্তে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। কাল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন নিতে আসলে বিষয়টি জেনে নিব।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

মতলবে বাইশপুর সপ্রাবি মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল,ও গর্ত।

আপডেট টাইম ০৫:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন: নিন্মমানের সামগ্রী আর সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাবে ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল ও গর্ত। সে সাথে ঝড়ে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তার। এতে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, মতলব পৌরসভার ১৮৪ নং দক্ষিণ বাইশপুর মালেক দেওয়ান- মনিরুজ্জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১১-১২ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কাজটি করেন মেসার্স নুরুল ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাঁচতলা ভীত বিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রথম তলা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে চলছে পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫শত বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের দেয়াল, মেঝে ও ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া একটি কক্ষের মাঝে বড় আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেড়া দিয়ে এক পাশে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এছাড়া অফিস ও অন্য দুই কক্ষের মেঝে ফাটল রয়েছে। এতে অভিভাবকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। যে কোনো সময় ওই শ্রেণি কক্ষের মতই গর্ত সৃষ্টি হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও দাতা সদস্য মহসিন দেওয়ান বলেন, ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নজির বিহীন। এখনই সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়টি লিখিত আকারে ছবিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এসএমস্#ি৩৯;র সভাপতি আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান (ভুলু হাজী) ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এই বিদ্যালয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে। যার ফলে সাত বছর না যেতেই মেঝে ও দেয়াল খসে পড়ছে আস্তর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এই মুহূর্তে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। কাল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন নিতে আসলে বিষয়টি জেনে নিব।