মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর সারাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জোটটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের (মঙ্গলবার) মধ্যেই সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এ দাবি জানান।
ড. কামাল বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে, পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে এবং প্রচারের মাইক ভাঙচুর ও জব্দ করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভোটই বন্ধের পথ খুঁজছে ক্ষমতাসীনরা।
তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আঙিনায় ‘আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী হামলা করলেও’ প্রশাসন পুরোপুরি নিশ্চুপ এবং আজ পর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক নয়। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর দাবি জানাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।