মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি।
আরো পড়ুন: ভোলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এই নিহতের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আগামী বুধবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ভোলার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলেও দাবি করে বিএনপি।
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ভোলার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং সারাদেশের জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
মোশাররফ বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই- জনগণকে যারা অবজ্ঞা করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না। গণমানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। যথেষ্ট হয়েছে। ভোলার গণহত্যার বিচার করতে হবে। ভোলার জনগণের দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি ভোলার সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ভোলার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘মহান আল্লাহ ও মহানবীকে (সা.) কটূক্তির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও ভয়াবহ পৈশাচিকতায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। যেকোনো ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলে মানুষের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা নতুন কিছু নয় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছি স্থানীয় প্রশাসন সুকৌশলে মানুষের প্রতিবাদটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভোলা হত্যাকাণ্ডের পর সরকার ও প্রশাসনের বক্তব্য এবং মন্তব্য শুনলে অনুধাবন করতে পারবেন তারা দুঃখ প্রকাশ না করে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে আর প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।