ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়ে শুরু থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি যেসব অভিযোগ তুলেছেন সে সব বিষয়ে কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আইন প্রয়োগকারী এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোনো জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। আর জনগণের ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে ৬২ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন।

তবে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই একের পর পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, উইলিয়াম বার ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেওয়ার পরও ট্রাম্প কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই টুইটারে আবারও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।

নির্বাচন নিয়ে একটি দাবি করা হয়েছে যে, ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাক করে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে যে, সেটি ভোটের ফলাফল পাল্টে জো বাইডেনের পক্ষে নিয়ে গেছে।

গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে সব কিছু সমাধানের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। কেউ যদি কিছু পছন্দ না করে, তখন তারা চায় যে, বিচার বিভাগ এসে সেটার তদন্ত করতে শুরু করুক। উইলিয়াম বারকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়।

তার এই মন্তব্যের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি এবং জেনা এলিস একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, অনিয়মের এবং পদ্ধতিগত জালিয়াতির যথেষ্ট প্রমাণের ব্যাপারে সেটা নিয়ে তদন্ত বা জ্ঞান ছাড়াই তিনি মতামত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

উইলিয়াম বারের এই মন্তব্যের পর সিনেটে ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার বলেছেন, আমার ধারণা, এরপরে তিনিই হয়তো বরখাস্ত হতে চলেছেন। এর আগে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।

ক্রেবস এক টুইটা বার্তায় বলেছিলেন, নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার

আপডেট টাইম ১১:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়ে শুরু থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি যেসব অভিযোগ তুলেছেন সে সব বিষয়ে কোন প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আইন প্রয়োগকারী এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোনো জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। আর জনগণের ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে ৬২ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন।

তবে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই একের পর পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, উইলিয়াম বার ভোট জালিয়াতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেওয়ার পরও ট্রাম্প কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই টুইটারে আবারও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।

নির্বাচন নিয়ে একটি দাবি করা হয়েছে যে, ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাক করে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে যে, সেটি ভোটের ফলাফল পাল্টে জো বাইডেনের পক্ষে নিয়ে গেছে।

গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে সব কিছু সমাধানের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। কেউ যদি কিছু পছন্দ না করে, তখন তারা চায় যে, বিচার বিভাগ এসে সেটার তদন্ত করতে শুরু করুক। উইলিয়াম বারকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়।

তার এই মন্তব্যের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি এবং জেনা এলিস একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, অনিয়মের এবং পদ্ধতিগত জালিয়াতির যথেষ্ট প্রমাণের ব্যাপারে সেটা নিয়ে তদন্ত বা জ্ঞান ছাড়াই তিনি মতামত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

উইলিয়াম বারের এই মন্তব্যের পর সিনেটে ডেমোক্রেট নেতা চাক শুমার বলেছেন, আমার ধারণা, এরপরে তিনিই হয়তো বরখাস্ত হতে চলেছেন। এর আগে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।

ক্রেবস এক টুইটা বার্তায় বলেছিলেন, নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়।