ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

ভোট একটি পবিত্র আমানত,অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে আমানত খেয়ানত করবেন না

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় দশটি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ই ডিসেম্বর ,বুধবার। ইউপি নির্বাচনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্য। দেশে যত নির্বাচন হয়, এরমধ্যে ইউপি নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিশেষ। রাজনীতিতে ভোট এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার ব্যবস্থার কোনো না কোনোপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত ও নির্বাচিত হন।

ভোট একটি পবিত্র আমানত। ভোট দেওয়া মহান দায়িত্ব। নাগরিক অধিকার। স্বাধীনতার উপহার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটাই সততা ও সুষ্ঠু নাগরিকতার দাবি। পক্ষন্তরে অসৎ, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দিলে তার পরিণাম ভয়াবহ।

হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ রব্বানি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট হচ্ছে তিনটি বিষয়ের সমষ্টি, ১. সাক্ষ্য প্রদান। ২. সুপারিশ । ৩. প্রতিনিধিত্বের ক্ষমতা প্রদান। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৫/৫৩৩)। ইসলামী শরিয়ত ভোট ও ভোটাধিকারকে একটি সাক্ষ্য এবং সুপারিশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ইসলামে সাক্ষ্য প্রদান করা এবং সুপারিশ করা উভয় বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এ সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং ভালো ও যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষ্য দেওয়া মানে হলো সত্যকে সমর্থন করা এবং সাক্ষ্য দেওয়া। আর অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে হলো মিথ্যা বা মন্দকে সাক্ষ্য দেওয়া। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এমন কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রসঙ্গে কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাক।’ [সুরা হজ : ৩০] সুতরাং ভোট যেহেতু একটি সাক্ষ্য। জেনে বুঝে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।

ভোট একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোট প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে ভোট দেয়া নাগরিক দায়িত্ব ও ইসলামের বিধান। কোনোভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে ব্যাক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।’ [সুরা বাকারা: আয়াত:২৮৩] হযরত আবু মুসা আশআরী রা. হতে বর্ণিত, মহানবী সা. বলেছেন, কোন ব্যাক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকা হলে সে যদি সাক্ষ্য গোপন করে, তাহলে সে ঐ ব্যাক্তির মত যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।

ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলাম মনে করে, যারা ভোট দিবেন; তারা সমাজে ভালো কাজ করার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিবেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

ভোট একটি পবিত্র আমানত,অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে আমানত খেয়ানত করবেন না

আপডেট টাইম ০৮:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় দশটি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ই ডিসেম্বর ,বুধবার। ইউপি নির্বাচনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্য। দেশে যত নির্বাচন হয়, এরমধ্যে ইউপি নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিশেষ। রাজনীতিতে ভোট এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার ব্যবস্থার কোনো না কোনোপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত ও নির্বাচিত হন।

ভোট একটি পবিত্র আমানত। ভোট দেওয়া মহান দায়িত্ব। নাগরিক অধিকার। স্বাধীনতার উপহার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটাই সততা ও সুষ্ঠু নাগরিকতার দাবি। পক্ষন্তরে অসৎ, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দিলে তার পরিণাম ভয়াবহ।

হজরত মাওলানা মুহাম্মাদ রব্বানি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট হচ্ছে তিনটি বিষয়ের সমষ্টি, ১. সাক্ষ্য প্রদান। ২. সুপারিশ । ৩. প্রতিনিধিত্বের ক্ষমতা প্রদান। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৫/৫৩৩)। ইসলামী শরিয়ত ভোট ও ভোটাধিকারকে একটি সাক্ষ্য এবং সুপারিশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ইসলামে সাক্ষ্য প্রদান করা এবং সুপারিশ করা উভয় বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এ সাক্ষ্য দেওয়া। সুতরাং ভালো ও যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষ্য দেওয়া মানে হলো সত্যকে সমর্থন করা এবং সাক্ষ্য দেওয়া। আর অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানে হলো মিথ্যা বা মন্দকে সাক্ষ্য দেওয়া। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এমন কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রসঙ্গে কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাক।’ [সুরা হজ : ৩০] সুতরাং ভোট যেহেতু একটি সাক্ষ্য। জেনে বুঝে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে।

ভোট একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোট প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে ভোট দেয়া নাগরিক দায়িত্ব ও ইসলামের বিধান। কোনোভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে ব্যাক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।’ [সুরা বাকারা: আয়াত:২৮৩] হযরত আবু মুসা আশআরী রা. হতে বর্ণিত, মহানবী সা. বলেছেন, কোন ব্যাক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ডাকা হলে সে যদি সাক্ষ্য গোপন করে, তাহলে সে ঐ ব্যাক্তির মত যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।

ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলাম মনে করে, যারা ভোট দিবেন; তারা সমাজে ভালো কাজ করার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিবেন।