ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ভিডিও কনফারেন্সে মুন্সীগঞ্জের ১৩টি সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার ১৩টি সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩টি সেতু হলো- টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঠানবাড়ি সেতু, আলদি বাজার সেতু, শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী সেতু, ছনবাড়ী সেতু, শ্রীনগর বাজার-১ সেতু, শ্রীনগর বাজার-২ সেতু, আটপাড়া সেতু, হাসাড়া-১ সেতু, হাসাড়া-২ সেতু, সাতগাঁও সেতু, সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ সেতু, রসুনিয়া সেতু-১, রসুনিয়া-২ সেতু।

আরো পড়ুন: নতুন দুই মেট্রোরেলসহ একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ছিল না। আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গৃহহারা মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করছি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মেডিকেল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। এছাড়া দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।

সড়ক পথ উন্নয়নে বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক পথকে নিরাপদ করতে আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গাড়ির চালকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি যারা পথচারি থাকবে তাদেরও সচেতন হতে হবে। এছাড়া মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, সাইকেল, রিক্সাসহ সকল গাড়ির চালকদের সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগেরর অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ ১৩টি সেতু। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৯.২১ লাখ টাকা (জি ও বি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। জি ও বি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ১৩টি সেতুর দৈর্ঘ ৫২১.২৬ মিটার ও নির্মাণ ব্যয় ৮৮৬২.১৫৪ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়কে ৭৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু ও ১৬টি আরসিসি/জরাজীর্ণ সরু সেতুসহ সর্বমোট ৯৪টি সেতুর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৫টি সেতু নতুনভাবে আরসিসি/পিসি গার্ডার সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৃহীত ‘মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি সেতু সমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও ১৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৮টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন কোন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি জরাজীর্ণ সেতু বিদ্যমান থাকবে না।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, ১৩টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আরো ৮টি সেতুর কাজ চলমান। যার কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

ভিডিও কনফারেন্সে মুন্সীগঞ্জের ১৩টি সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার ১৩টি সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩টি সেতু হলো- টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঠানবাড়ি সেতু, আলদি বাজার সেতু, শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী সেতু, ছনবাড়ী সেতু, শ্রীনগর বাজার-১ সেতু, শ্রীনগর বাজার-২ সেতু, আটপাড়া সেতু, হাসাড়া-১ সেতু, হাসাড়া-২ সেতু, সাতগাঁও সেতু, সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ সেতু, রসুনিয়া সেতু-১, রসুনিয়া-২ সেতু।

আরো পড়ুন: নতুন দুই মেট্রোরেলসহ একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ছিল না। আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গৃহহারা মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করছি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মেডিকেল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। এছাড়া দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।

সড়ক পথ উন্নয়নে বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক পথকে নিরাপদ করতে আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গাড়ির চালকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি যারা পথচারি থাকবে তাদেরও সচেতন হতে হবে। এছাড়া মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, সাইকেল, রিক্সাসহ সকল গাড়ির চালকদের সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগেরর অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ ১৩টি সেতু। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৯.২১ লাখ টাকা (জি ও বি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। জি ও বি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ১৩টি সেতুর দৈর্ঘ ৫২১.২৬ মিটার ও নির্মাণ ব্যয় ৮৮৬২.১৫৪ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়কে ৭৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু ও ১৬টি আরসিসি/জরাজীর্ণ সরু সেতুসহ সর্বমোট ৯৪টি সেতুর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৫টি সেতু নতুনভাবে আরসিসি/পিসি গার্ডার সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৃহীত ‘মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি সেতু সমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও ১৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৮টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন কোন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি জরাজীর্ণ সেতু বিদ্যমান থাকবে না।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, ১৩টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আরো ৮টি সেতুর কাজ চলমান। যার কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।