তানভীর আহম্মেদ (ছদ্দনাম) : মানুষ যখন ভাল কাজ করে, নিজের যোগ্যতায় যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, সমাজের অবহেলিত সুবিধা বি ত মানুষগুলোর পাশে যখন একটি অবলম্বন হয়ে ধারায়, ঠিক তখন দেখা যায় একটি অযোগ্য কুচক্রিমহল নিজেদের কুক্ষমতা বিস্তারে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সমাজের সেই সমস্ত ভাল মানুষ গুলোর, ভাল কাজগুলোকে সহ্য করতে না পেরে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তখন তারা লিপ্ত হয়ে পরে, ভাল মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কুকর্মে কুষড়যন্ত্রে। শুধু তাই নয়, এই কুচক্রিমহলটি নোংরা ষড়যন্ত্রের কারণে সমাজের ভাল মানুষগুলোকে যখন-তখন সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় সমাজের বিভিন্ন স্তরে। এ ধরণের কর্মকান্ড এখন ঘটছে হারহামেশা বাংলার বুকে। এমনই একটি সত্য ঘটনার অবলম্বনে আজকের এই লেখাটি পাঠক সমাজে তুলে ধরা হল:
রাজধানী মতিঝিল থানাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী একাধিক সংগঠনের ক্ষমতালোভী, অর্থলোভী, স্বার্থবাদী কিছু অসাধু নেতাকর্মীদের কারণে অনেক সময়ই দলীয় বিশৃংখলা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে, মতিঝিল থানা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর বিভিন্ন সময়ের একাধিক নেতাকর্মীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে ধারণা রয়েছে স্থানীয় সাধারণ জনতাসহ মিডিয়া পাড়ার। আমরা জানি খারাপ কাজ করলে সাধারণত রাজনৈতিক অঙ্গনে খুব দ্রুত তীরস্কার এবং বহিস্কার অবধারিত। সংগঠনের শৃঙখলা ভঙ্গে শাস্তি হবে এখানে আশ্চার্য হওয়ার কিছু নেই। তবে কেউ যদি ভাল কাজ করে শৃঙখলার ভিতর থাকার পরেও দলীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে তিরস্কার বা সাময়িক বহিস্কারের আদেশ পায় সেটা আশ্চার্যজনক, সাথে অত্যন্ত দু:খজনক। এমনটিই ঘটেছে, ৯নং ওয়ার্ড, মতিঝিল থানা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরু)র সঙ্গে। যিনি একাধারে দিলকুশা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বছরের পর বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে। করোনাকালীন সময় থেকে অদ্যবদী মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরু)র সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলাধুলায় ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ব্যানারে মেয়রকাপে পর পর দুইবার চ্যাম্পিয়ান। ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকর্মিদের বিপদে আপদে পাশে থাকছেন বন্ধুরুপে। নেতাকর্মীদের আর্থিক, সামাজিক, সমস্যা সমাধানে মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরু) একটি নির্ভরযোগ্য আস্থার স্থান হয়ে আছেন নেতাকর্মীদের কাছে। এছাড়াও সকল ধরণের দলীয় কার্যক্রমে ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন স্তরে ব্যবসা বানিজ্যের দার উম্মোচনে, ব্যবসা বান্ধব সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কর্মস্থান সৃষ্টিসহ সাংগঠনিক ব্যয়বহনে কাজ করছেন সবাইকে একত্রিত করে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে , ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার ও সংস্কার, মশা নিধর, করোণাকালীন সময়ে গরীব অসহায় এবং সহায় সম্বলহীন মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ, মাস্ক বিতরণ , শীতাকালীন সময়ে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং বয়স্কভাতা বিতরণীমুলক কার্যক্রমে মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরু)র সর্বোচ্চ মানবতার পরিচয় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, মাদকমুক্ত সমাজ ঘটনে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ এর পক্ষ থেকে , মতিঝিল থানা ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যৌথ সহযোগিতায়, মোঃ নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরু) জিরো (০) টলারেন্স নীতিতে একাতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন মাদক নির্মূলে। এমন একজন আদর্শবান, ভাল মানুষের বিরুদ্ধে একটি কুচক্র মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের রাজনৈতিক থেকে সাময়িক বহিস্কার করাটা অত্যন্ত দু:খ জনক খবর আমাদের সবার কাছে। এ কারণেই তাকে নিয়ে আজকের এই লেখাটুকু।
উপরোক্ত সত্য তথ্যের আলোকে এটাই তুলে ধরতে চাই, আহ্বান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দরবারে, তা হলো আপনারা কারো কথায় নয়, নিজেরা সুন্দর ও সুস্থ বিবেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গের অপরাধ নির্ণয়ে নিজেরাই সরেজমিনে কাজ করুন (বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়)