ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

ভারতে ৪০০ কোটি ডলার যাওয়ার তথ্য ভুল: শ্রিংলা

বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স হিসেবে বছরে ৪০০ কোটি ডলার ভারতে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ বড় উৎস বাংলাদেশ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বস্ত্র খাতের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার এ দাবি করেন। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের এক বক্তব্যের ভুল ভাঙাতে গিয়ে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রবাসী আয় নিয়ে কথা বলেন।

এর আগে শফিউল ইসলাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ভারতের প্রবাসী আয়ের চতুর্থ বড় উৎস বাংলাদেশ। এটা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি।’

শফিউল ইসলামের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘আমি রেকর্ড রাখার জন্য এফবিসিসিআই সভাপতির বক্তব্যটির আংশিক সংশোধনী দিতে চাই। বাংলাদেশ যে ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ উৎস, এটা প্রকাশ করেছিল পিউ রিসার্চ। তাদের ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে এ তথ্য উঠেছিল, যা পুরোপুরি ভুল। সংবাদটি মিথ্যা।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তথ্যাদি আমরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে আদানপ্রদান করতে পারি। এ দেশে ভারতীয় নাগরিকদের একটি ছোট দল কাজ করে। এটা অবিশ্বাস্য যে তাদের পক্ষে ৪০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় পাঠানো সম্ভব।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পিউ রিসার্চের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশকে ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের পঞ্চম উৎস বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে ভারত বছরে ৪০৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বলে উল্লেখ করা হয়। গত ২ জুলাই আরেকটি পত্রিকায় বাংলাদেশ থেকে ভারত এক হাজার কোটি ডলার আয় করে বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও সেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাত দেওয়া হয়নি।

পিউ রিসার্চ গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে একটি হালনাগাদ ইনফোগ্রাফিকস প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে ২০০ কোটি ডলার বা সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স বিদেশে যায় বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ভারতে যায় ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ ক্ষেত্রে ভারতের ওপরে আছে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। পিউ রিসার্চের একই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে ২০১৬ সালে ৪০৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

আইসিসিবিতে বস্ত্র খাতের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেমস গ্লোবাল। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ বক্তব্য দেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

ভারতে ৪০০ কোটি ডলার যাওয়ার তথ্য ভুল: শ্রিংলা

আপডেট টাইম ০১:১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স হিসেবে বছরে ৪০০ কোটি ডলার ভারতে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ বড় উৎস বাংলাদেশ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বস্ত্র খাতের একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার এ দাবি করেন। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের এক বক্তব্যের ভুল ভাঙাতে গিয়ে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রবাসী আয় নিয়ে কথা বলেন।

এর আগে শফিউল ইসলাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ভারতের প্রবাসী আয়ের চতুর্থ বড় উৎস বাংলাদেশ। এটা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি।’

শফিউল ইসলামের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘আমি রেকর্ড রাখার জন্য এফবিসিসিআই সভাপতির বক্তব্যটির আংশিক সংশোধনী দিতে চাই। বাংলাদেশ যে ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ উৎস, এটা প্রকাশ করেছিল পিউ রিসার্চ। তাদের ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে এ তথ্য উঠেছিল, যা পুরোপুরি ভুল। সংবাদটি মিথ্যা।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তথ্যাদি আমরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে আদানপ্রদান করতে পারি। এ দেশে ভারতীয় নাগরিকদের একটি ছোট দল কাজ করে। এটা অবিশ্বাস্য যে তাদের পক্ষে ৪০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় পাঠানো সম্ভব।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পিউ রিসার্চের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশকে ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের পঞ্চম উৎস বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে ভারত বছরে ৪০৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পায় বলে উল্লেখ করা হয়। গত ২ জুলাই আরেকটি পত্রিকায় বাংলাদেশ থেকে ভারত এক হাজার কোটি ডলার আয় করে বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও সেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানের বরাত দেওয়া হয়নি।

পিউ রিসার্চ গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে একটি হালনাগাদ ইনফোগ্রাফিকস প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে ২০০ কোটি ডলার বা সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স বিদেশে যায় বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ভারতে যায় ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ ক্ষেত্রে ভারতের ওপরে আছে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। পিউ রিসার্চের একই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে ২০১৬ সালে ৪০৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

আইসিসিবিতে বস্ত্র খাতের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেমস গ্লোবাল। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ বক্তব্য দেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে।